রাজগঞ্জ: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ১ হাজার টাকা দিয়ে কি হবে? পড়াশুনা করেও চাকরি নেই। চাকরি দিন! বেকারদের কাজের ব্যবস্থা করুন। কমপক্ষে ১২ হাজার টাকার চাকরি পেলে তবে তো স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে কোনোরকমে সংসার চলবে। এলাকায় দিদির দুতেদের সামনে পেয়ে এমনই অভিযোগ করে বসলেন গ্রামবাসীদের একাংশ।
বৃহস্পতিবার রাজগঞ্জের পানিকাউরি অঞ্চলে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে দিদির দূত হয়ে আসেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য চন্দন ভৌমিক। মগরাডাঙ্গি বাজার, চৌধুরীভিটা, খলকেরবাড়ি সহ বেশ কিছু জায়গায় সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তুলে ধরার পাশাপাশি স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ শোনেন। চৌধুরীভিটার স্থানীয়দের একাংশ দিদির দূতেদের বলেন, ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হয়ে বেকার হয়ে আছে। চাকরি পাচ্ছে না। তাই বিয়েও করতে পারছে না। লক্ষ্মীর ভান্ডারের ১ হাজার টাকার দরকার নেই। বেকারদের কর্মসংস্থান দরকার। বেকারত্বের কারণে অনেকে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। এদিন কেউ কেউ আবার বার্ধক্য ভাতা, জমির পাট্টা ও আবাস যোজনার ঘর পাননি বলে অভিযোগ করেন। কেউ অসুস্থ ছেলের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবদার করেন। তবে দিদির দূত চন্দন ভৌমিক সবাইকে হাসিমুখে উত্তর দেন।
এদিন জনসংযোগ সভা ও কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজগঞ্জ ব্লকের সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, মহিলা তৃণমূলের সহসভাপতি সর্বাণী ধারা, আইএনটিটিইউসির ব্লক সভাপতি সলেমান মহম্মদ সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।।
About The Author
