ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচারকারীদের হাতে মৃত্যু হল এক বিএসএফ জওয়ানের, দাবি বিএসএফ-এর। সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে এক বাংলাদেশী পাচারকারীর মৃত্যুর ঘটনার একদিন পরই বিএসএফ জওয়ানের দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। সোমবার ভোরে মালদা বামনগোলা ব্লকের খুটাদহ ক্যাম্পের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় হাড়িয়া নদীতে বিএসএফ জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়।
বিএসএফ সুত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় হবিবপুর বামনগোলা জুড়ে জোরকদমে বাংলাদেশের পাচারকারীরা গরু পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছে। গত শুক্রবার বিএসএফ-এর গুলিতে এক বাংলাদেশী পাচারকারী মৃত্যু হয়। ঠিক পর দিন খুটাদহ ক্যাম্পে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নদী থেকে এক বিএসএফের জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়। মনে করা হচ্ছে পাচারকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে জওয়ানের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বামনগোলা থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃতের নাম ভিভেক তিওয়ারি। জওয়ানের দেহ ময়নাতদন্তের পর ১৫৯ সেনা ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পে আনা হয়। সেখানে তার কফিনবন্দি দেহকে সন্মান জানানোর পরে ওই জওয়ানের দেহ তার বাড়ি পঞ্জাবের উদ্দেশ্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম, কামরুল ইসলামসহ ১০-১৫ জনের একটি দল ইট পাটকেল, লোহার রড-সহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় ওই পরিবারের ওপর। রতুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনা তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আক্রান্ত হন বাবা ও দুই ছেলে। তাদের প্রথমে রতুয়া থানার গ্রামীণ হাসপাতলে এবং পরে সেখান রাতে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আক্রান্ত বাবার নাম কুদ্দুস শেখ (৬৭) এবং দুই ছেলে এশারুদ্দিন শেখ (৪২) নাসিরুদ্দিন শেখ (৩৫)। রতুয়া থানার দক্ষিণ শাহাপুরে বাড়ি তাদের।