কোচবিহার: মায়ের সঙ্গে জমির টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে তাকে নির্মমভাবে হত্যা ও দেহ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে এক পুত্রকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল কোচবিহার জেলা আদালত।
বিচারপতি রুদ্র প্রসাদ রায়ে’র রায়ে অভিযুক্ত মিঠুন সরকার (৩২)-কে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিতে পারলে তাকে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এছাড়া, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২০১ ধারা মোতাবেক তাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানা না দিতে পারলে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, কারাদণ্ডের সাজাগুলো একসঙ্গে চলবে। বিগত ১৬ জুন, ২০২৩ তারিখে কোচবিহার জেলার পুন্ডিবাড়ি থানার সাজেরপাড় খোঁড়ামারা এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ ওঠে, ওই দিন মিঠুন সরকার তার মায়ের সঙ্গে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে ত/র্কে জড়িয়ে যায়। টাকা না দিতে চাইলে মায়ের গ/লা টিপে তাকে হ/ত্যা করে। মাতৃহ/ত্যার পর অভিযুক্ত তার মায়ের মৃ/তদে/হ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
পরবর্তীতে, কোনওভাবে দেহ লোপাট করার উদ্দেশ্যে সে দেহটি নিয়ে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে নিয়ে গিয়ে কবর দিতে চেষ্টা করলে প্রতিবেশীদের তার আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে এবং পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ এসে মিঠুনকে গ্রেফতার করে এবং মায়ের দেহ উদ্ধার করে। গ্রেফতারের পর পুলিশ তদন্ত চালিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এবং বিস্তারিত চার্জশিট আদালতে পেশ করে। আদালতে মামলার শুনানির পর বিচারপতি রুদ্র প্রসাদ রায় সকল সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনা করে মিঠুন সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করে আজ এই কঠোর শাস্তির আদেশ দেন।
- বিচারপতি রুদ্র প্রসাদ রায়ের রায়ে IPC 302 ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ₹১০,০০০ জরিমানা, IPC 201 ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ₹৫,০০০ জরিমানা হয়েছে। জরিমানা না দিলে অতিরিক্ত সাজা ভোগ করতে হবে। সব সাজা একসঙ্গে চলবে।