নয়াদিল্লি: জলবিদ্যুৎ উৎপাদনে বৈপ্লবিক পদক্ষেপ হিসেবে চিন সরকার ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। তিব্বতের ইয়ারলুং সাংপো নদীতে গড়ে ওঠা এই প্রকল্প চিনের থ্রি গর্জেস বাঁধকেও ছাড়িয়ে যাবে বলেই দাবি করা হয়েছে। নদীটি ভারতে ব্রহ্মপুত্র এবং বাংলাদেশে যমুনা নামে পরিচিত।
চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কুয়াং এই প্রকল্পের সূচনা করেন। প্রায় ১.২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৪.৪ লক্ষ কোটি) ব্যয়ে তৈরি হতে চলা বাঁধটির জলবিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হবে ৬০ গিগাওয়াট, যা বর্তমান বিশ্বে সর্বোচ্চ।
ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি বাঁধটি নির্মিত হচ্ছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। ব্রহ্মপুত্র নদ দুটি দেশের জলপথ, কৃষি এবং জীবনজীবিকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মনে করা হচ্ছে, এরফলে বর্ষাকালে অতিরিক্ত জল ছেড়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হবে। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে নিচু অঞ্চলে জলের অভাব দেখা দিতে পারে। নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহে হস্তক্ষেপে পরিবেশগত বিপর্যয় এবং ভূকম্পনের ঝুঁকি বাড়বে বলে আশঙ্কা পরিবেশবিদদের।
ভারত সরকার জানিয়েছে, তারা নজর রাখছে এবং প্রয়োজনে কূটনৈতিক পথে ব্যবস্থা নেবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে চিনকে অবহিত করা হয়েছে যাতে নিচু অঞ্চলে কোনও ক্ষতিকর প্রভাব না পড়ে।
চিন সরকার দাবি করেছে, এই প্রকল্প পরিবেশবান্ধব এবং এতে কোনও বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হবে না। যদিও আন্তর্জাতিক মহলে এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মধ্যে এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।