নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এমনই সংসার চালাতে অভ্যস্ত চন্দনা বাউরী। এখন তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সদস্য। একজন বিধায়ক বলতে আমরা যা বুঝি, তার ব্যতিক্রমী ছবি ধরা পড়ে চন্দনা বাউরির ক্ষেত্রে।
বাঁকুড়ার শালতোড়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি, গ্রামে তাঁর একচালা বাড়ি আর কয়েকটি গরু, হাস-মুরগিই একমাত্র সম্বল। স্বামী পেশায় রাজমিস্ত্রি দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ, কিছু সময় অভাবের তাড়নায় স্বামীর সঙ্গে কাজের হাল ধরতে হয়েছিল চন্দনা দেবীকে। আজ তিনি মানুষের ভোটে জিতে বাংলার বিধানসভার একজন সদস্য। এতোবড়ো দায়িত্বভার তো রয়েইছে তাই বলে তো আর ঘর সংসার ফেলে রাখা যায় না। বিধায়কের দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরিকে দেখা যায় একজন গৃহবধুর ভূমিকায়। তিন সন্তান, স্বামী নিয়ে বাঁকুড়ার কেলাই গ্রামে বাস করেন চন্দনা দেবী। সকাই হলেই স্বামীকে বেড়িয়ে পড়তে হয় রুজির টানে, তাই একা হাতেই সামলাতে হয় পুরো ঘরকন্নার কাজ।
রাজনীতির শুরুটা হয়েছিল গত পঞ্চায়েতে ভোটে মধ্যে দিয়ে। শুরুতেই অনেক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েই যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে জানান চন্দনা দেবী। শালতোড়া বাসীর প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। সেই ভালোবাসাকে পাথেয় করেই তিনি আজ বিধায়ক; দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গেছে৷ এক বিধায়ক হিসেবে তাঁর প্রথম কাজ মানুষের ন্যায্য অধিকার পাইয়ে দেওয়া। সমাজের এমন স্তর থেকে উঠে আসা একজন মেহেনতী মানুষই হয়তো বুঝবে সাধারন মানুষের কথা, এই আশাতেই হয়ত বুক বেধেছেন গোটা শালতোড়ার মানুষজন।