রাজগঞ্জ: ভোটারদের মশারি বিলি করে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘জামিন অযোগ্য ধারায়’ মামলা দায়ের। দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করলেও অভিযুক্ত বিজেপি প্রার্থী ‘পলাতক’ বলে দাবি পুলিশের। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের শিকারপুরের ঘটনায় শোরগোল। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির চরিত্রই হল মানুষকে লোভের ফাঁদে ফেলে ভোট নেওয়া। যদিও বিজেপির দাবি, মিথ্যে মামলা ছাড়া কিছু নয়। এদিকে, পুলিশ তপন রায়কে পলাতক বলে দাবি করলেও ‘অভিযুক্ত’ প্রার্থী নিজের বাড়িতেই রয়েছেন বলে তিনি নিজেই জানালেন। তাঁর কথায়, এমন কোনও মামলাই নাকি তাঁর বিরুদ্ধে হয়নি।
রাজগঞ্জের শিকারপুর অঞ্চলের পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি প্রার্থী তপন রায় সহ আরও দুই বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। শিকারপুর অঞ্চলের ১০ নম্বর সেক্টরের সিভিল সেক্টর অফিসার দীপঙ্কর রায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভোট আদায়ের জন্য ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ করেছেন। সেই ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মশারি বিলির অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করা গেলেও অভিযুক্ত প্রার্থী তপন রায় ‘পলাতক’ বলে দাবি পুলিশের। গ্রেপ্তার দুই বিজেপি কর্মীর নাম, রিঙ্কুদেব রায় এবং রেনুবালা দেব।
ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি ভোটের আগে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চাইছে শাসক শিবির। এটা বিরোধীদের চক্রান্ত বলেই দাবি তাদের। এই বিষয়ে রাজগঞ্জের তৃণমূল সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির কাজই হল মানুষকে লোভ দেখিয়ে ভোট টানার চেষ্টা করা। সকালে টাকিমারিতে বিজেপি আগুন লাগিয়েছে, আর এখন বেলাকোবার এক বড় নেতা মশারি দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করেছেন। এটাই তো ওদের চরিত্র। রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার জানিয়েছেন, নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে। সেই ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। দু’জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তবে বিজেপির প্রার্থী তপন রায়কে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তার খোঁজ চলছে।