মেঘালয় সীমান্তে ভারতীয় গ্রামবাসীর উপর হামলা, ‘বাংলাদেশি গ্যাং’ আটক

গুয়াহাটি: মেঘালয়ের সীমান্তবর্তী এলাকায় এক ভারতীয় দোকানদারকে অপহরণ করে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। BSF ও মেঘালয় পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে চার বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে।

NDTV-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভুক্তভোগী বালসরাং মারাক সীমান্তের কাছে একটি দোকান চালান। শুক্রবার রাতে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন, সেই সময় ৮-৯ জন সশস্ত্র ব্যক্তি দোকানে ঢুকে তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে সীমান্তের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। মারাকের অভিযোগ, “আমি নিশ্চিত ছিলাম ওরা আমার গলা কেটে ফেলত।” অন্ধকারে সুযোগ পেয়ে তিনি দৌড়ে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়।

BSF ও পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে তিনজনকে জঙ্গলে ঘিরে ধরে। পুলিশ গুলি ছুঁড়ে সতর্ক করে। চতুর্থ অভিযুক্তকে গ্রামবাসীরা ধরে ফেলে। ধৃতরা পালানোর আগে অস্ত্র, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন এবং এক বাংলাদেশি পুলিশকর্মীর পরিচয়পত্র ফেলে দেয়। সব উদ্ধার হয়েছে।

ধৃতদের নাম মেফুস রহমান (৩৫), জাঙ্গির আলম (২৫), মেরুফুর রহমান (৩২), সায়েম হুসেন (৩০)। 

BSF-এর ইন্সপেক্টর জেনারেল ওপি উপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই মৌসুমে গরু পাচার বেড়েছে। নদীঘেরা সীমান্তে নজরদারি কঠিন, ফলে অপরাধীরা সুযোগ নিচ্ছে। তিনি বলেন, “এরা শুধু গরু পাচার নয়, বালি-পাথরের মতো প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করতেও সীমান্ত পেরিয়ে আসে।”

মেঘালয়-বাংলাদেশ সীমান্তের ৪৪৩ কিমি অংশের বড় অংশ এখনও বেড়া-বিহীন। নদী, পাহাড়, বনভূমি ও জলাশয়ের কারণে নজরদারি কঠিন। পুলিশ মনে করছে, দুষ্কৃতীরা জলাশয় সাঁতরে বা কালভার্ট ব্যবহার করে ভারতে ঢুকেছে।

এর আগে ৭ আগস্ট সকালে একই জেলার বাগলি এলাকায় একটি পাথর খাদে ৮ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ করে। পুলিশ খবর পেয়ে অভিযান চালালেও তারা পালিয়ে যায়।

About The Author