শিলিগুড়ি: নাগরকাটার বন্যা ও ধসপীড়িত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ভয়াবহ হামলার শিকার হন মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। সোমবারের এই ঘটনায় মুর্মু গুরুতর মুখগহ্বর ও চোখের নিচের হাড়ে আঘাত পান। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসক ড. তন্ময় মুখার্জি জানিয়েছেন, বাঁ চোখের নিচের ম্যাক্সিলা হাড়ে গভীর ফাটল দেখা গেছে, যা চোখের নিচের অংশকে সমর্থন করে। আঘাতের ফলে তীব্র রক্তপাত, ফোলা ও টিস্যু ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, বাঁ চোখের দৃষ্টিশক্তি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজে হামলাকারীদের মুখ স্পষ্ট দেখা গেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে গ্রেপ্তার না হলে বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টের ছুটির বেঞ্চে যাবে।
এদিকে রাজ্যপাল সি.ভি. আনন্দ বোস আহত সাংসদের সঙ্গে হাসপাতালে দেখা করেছেন। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু সতর্ক করেছেন, রিপোর্টে বিলম্ব হলে সংসদীয় নিয়ম অনুযায়ী প্রিভিলেজ অ্যাকশন নেওয়া হতে পারে।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ঘটনার নিন্দা করলেও বিজেপির নীতির দিকেও আঙুল তুলেছেন। তাঁর মতে, বন্যা দুর্গত এলাকায় শুধুমাত্র ফটোসেশনের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করাও একপ্রকার উসকানি। তবে হামলার পদ্ধতি অনভিপ্রেত বলেই তিনি মন্তব্য করেছেন।