রাজগঞ্জ: আট বছর ধরে যার সঙ্গে প্রেম, তাঁকে ছেড়ে আরেকজনের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন যুবক। খবর শুনে পুলিশের দুয়ারে ছুটে গেলেন প্রেমিকা। অভিযোগ পেয়ে বিয়ের আসর থেকেই ‘বর’কে তুলে নিয়ে এল পুলিশ। বিয়ের সাজ নিয়েই শ্রীঘরে যেতে হল যুবককে। যুবকের বাবাকেও আটক করা হয়েছে। রাজগঞ্জের তালমা সংলগ্ন এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রেমিক যুবতীর পাড়ারই বাসিন্দা। যুবতীর পরিবারের দাবি, আট বছর ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের কথা বলে শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে একাধিকবার। কথা ছিল, সাত পাকে বাঁধা পড়বে দুজনে। তবে রবিবার যুবতী জানতে পারেন, প্রেমিকের অঙ্গে অন্য জায়গায় বিয়ে হচ্ছে। যুবকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পরিবারের তরফে যুবতীকে আত্মহত্যার প্ররোরচনা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। রাজগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করে প্রেমিকা। এরপর যুবক এবং তাঁর বাবাকে আটক করে পুলিশ। প্রেমিকার আরও দাবি, অন্য জায়গায় বাধ্য হয়ে বিয়ে করছে যুবক। তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ের আগের রাতেও ভিডিও কলে কথাও হয়েছে বলে দাবি।
এদিকে প্রেমিক যুবকের দাবি, বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে একাধিকবার প্রেমিকার বাড়ি গিয়েছিল সে। তবে ওই তরফে বিয়েতে আপত্তি ছিল। যুবক এবং তাঁর বাবা দিনমজুরির কাজ করেন। বাড়ি থেকে বিয়ের ব্যাপারে চাপও ছিল। তাই অন্য জায়গায় বিয়ে করছিল সে। তাঁদের দুজনের বাড়ি শিলিগুড়ি সূর্যসেন কলোনিতে। তালমায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন ছিল। সেখানেই পুলিশ এসে তাঁকে এবং তাঁর বাবাকে তুলে আনে। আটক যুবকের নাম বিষ্ণু রায়। তাঁর এক আত্মীয়ের দাবি, একাধিকবার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল মেয়েটিকে। তাঁদের পরিবারের তরফেই আপত্তি জানানো হয়। রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার জানান, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। অভিযুক্তকে জলপাইগুড়ি আদালতে পাঠানো হয়েছে।