‘বাংলা বললেই বাংলাদেশি?’ ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মমতার পাশে প্রসেনজিৎ, সরব রূপম–সুমনও

বাংলা ভাষায় কথা বলায় ভিনরাজ্যে হেনস্থার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী মমতার পাশে দাঁড়িয়ে লড়াইয়ের ডাক দিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সরব রূপম ইসলাম ও কবীর সুমনও। ‘বাংলা বললেই বাংলাদেশি’ তকমার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বাংলার শিল্পীদের একাংশ।

কলকাতা: বাংলা ভাষায় কথা বলার ‘অপরাধে’ ভিনরাজ্যে হেনস্থার অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষীদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ ক্রমশ বাড়ছে। কখনও বাংলাদেশি সন্দেহে মারধর, কখনও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়া—পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর এমন ঘটনার প্রতিবাদে এবার সরব হলেন বাংলার শিল্পীরা।

২১-এর মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষা রক্ষার লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন। এবার তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সেই আন্দোলনে শামিল হলেন টলিউডের ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাংলা ভাষা ছিল, আছে, থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে আছি। লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।” চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলা চলচ্চিত্রে কাজ করে আসা প্রসেনজিৎ এবার ভাষার মর্যাদা রক্ষায় সরব।

এই ইস্যুতে বিস্ফোরক পোস্ট করেছেন বাংলার রকস্টার রূপম ইসলামও। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “বাংলা ভাষা কি দেশের ২২টি ভাষার একটি নয়? কেন বাংলা বললেই বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে? এটা অত্যন্ত মূর্খামির পরিচয়। ধিক্কার!” একইসঙ্গে প্রবীণ সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমনও ফেসবুকে পোস্ট করে জানান, পশ্চিমবঙ্গের সব বিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা আবশ্যিক করা উচিত।

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিভিন্ন রাজ্যে হামলা, লুটপাট, উপার্জন কেড়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের বাংলাদেশি সন্দেহে অত্যাচার করা হচ্ছে বলেই দাবি। এই পরিস্থিতিতে ভাষার মর্যাদা রক্ষায় আন্দোলনে শামিল হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বাংলার সংস্কৃতি জগতের প্রতিনিধিরা।

About The Author