রাজগঞ্জ: গ্রামের কৃতি পড়ুয়ার হাতে ল্যাপটপ তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ।
বেলাকোবা গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী তৃষ্ণা রায়, অভাবের সঙ্গে লড়াই করেই এবারের উচ্চমাধ্যমিকে ৪৭৯ নম্বর পেয়ে গোটা বিধানসভা এলাকায় নজর কেড়েছিল। আগামীতে BDO হওয়ার স্বপ্ন।
তৃষ্ণার খবর গিয়েছিলে বিডিও-র কানে। মঙ্গলবার শিকারপুর অঞ্চলের মালিপাড়ায় তৃষ্ণার বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে একটি ল্যাপটপ তুলে দিলেন তিনি। নতুন ল্যাপটপ হাতে পেয়ে দারুন খুশি তৃষ্ণা জানায়, উচ্চ শিক্ষার ব্যাপারে এই ল্যাপটপ তাকে ভীষণ রকম সাহায্য করবে।
শিকারপুর অঞ্চলের মালিপাড়ার বাসিন্দা তৃষ্ণা রায়ের মা-বাবা ছোট খাটো কাজ করে তিন মেয়েকে মানুষ করছেন। কষ্ট করে পড়িয়েই তৃষ্ণা ভালো রেজাল্ট করেছে এবারে। তবে সামনে রয়েছে উচ্চশিক্ষার চিন্তা।
মঙ্গলবার তৃষ্ণার বাড়িতে আচমকাই হাজির হলেন বিডিও। পরিবারের সবার খোঁজ খবর নিলেন তিনি। তৃষ্ণাকে দিলেন ল্যাপটপ উপহার। পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা বাড়ির সবাই পাচ্ছেন কিনা, সে ব্যাপারে খোঁজ করতে দেখা গেল বিডিও-কে।
সেখান থেকে বেরিয়ে বিডিও প্রশান্ত বর্মন চলে যান রাজগঞ্জের বেলাকোবা গার্লস হাইস্কুলে।
শিক্ষকদের ধমক বিডিও-র
স্কুল খুলতেই আবারও ‘সারপ্রাইজ ভিসিট’ শুরু করলেন বিডিও প্রশান্ত বর্মন। মঙ্গলবার আচমকাই ছুটে গেলেন রাজগঞ্জের পানিকাউরি অঞ্চলের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এখানে গিয়ে দেখেন ৭২ জন পড়ুয়ার মধ্যে মাত্র ১৪ জন এসেছে। একটি ক্লাসে ঢুকতেই সেখানে শিক্ষকদের দেখতে না পেয়ে অসন্তুষ্ট হন বিডিও। ব্লক আধিকারিককে ঢুকতে দেখে টনক নড়ে সকলের।
‘এমন দায়সাড়া করে পড়ালে বাচ্চারা কিভাবে মানুষ হবে?’ ধমকের সুরেই বলেন শিক্ষকদের। এরপর বেশ কিছু বাচ্চাকে পড়াশোনার কথা জিজ্ঞেস করেন। ক্লাস থেকে বেরিয়ে বিডিও চলে যান আর রান্নাঘরে। মিডডে মিলের রান্না ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা তাও খোঁজ নিতে দেখা যায় তাকে।
পরিদর্শন সেরে বিডিও বলেন, স্কুলের ব্যাপারে অভিযোগ কানে এসেছিল, তাই ভিজিটিং করলাম। মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে যেকোনও স্কুলে ভিজিট করতে যেতে পারি। এদিকে, ওই স্কুল শিক্ষকদের দাবি, দু’দিন আগেই স্কুল খুলেছে। তাই এখনও অনেক বাচ্চাই স্কুলমুখো হচ্ছে না; তাছাড়া কিছু সমস্যা রয়েছে বলে তাদের পাল্টা পাবি। প্রসঙ্গত, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাছে স্কুলের মিডডে মিলের হিসেব চাইতেও দেখা গেল এদিন।