দালালের মাধ্যমে ভারতে ঢুকে একদিনেই আধার কার্ড তৈরি, নেপালে যাওয়ার আগেই ধৃত বাংলাদেশী যুবক

শিলিগুড়ি: ভারত-নেপাল সীমান্তে ফের ধরা পড়ল জাল পরিচয়পত্রের চক্র। শনিবার খড়িবাড়ির পানিট্যাঙ্কি সীমান্তে এসএসবির টহলদারির সময় গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে, যাঁর হাতে ছিল ভারতীয় আধার কার্ড। ধৃতের নাম রাতুল খান, যদিও তাঁর বাংলাদেশের পরিচয়পত্রে নাম লেখা রয়েছে মহম্মদ মানিক। অর্থাৎ একই ব্যক্তির দুই নাম, দুই দেশের পরিচয়।

সীমান্ত পারাপারের সময় আধার কার্ড দেখালে কর্তব্যরত এসএসবি জওয়ানদের সন্দেহ হয়। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় বাংলাদেশের পরিচয়পত্র, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং ভারতীয় আধার কার্ড। জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত স্বীকার করেন, তিনি বাংলাদেশের লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা। গত ২২ অগাস্ট এক বাংলাদেশি দালালের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকার বিনিময়ে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। পরে পানিট্যাঙ্কি এলাকার দুই দালালের মাধ্যমে ভারতীয় জাল নথি তৈরি করেন।

এসএসবি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত কাঠমান্ডুতে দর্জির কাজ করতে যাচ্ছিলেন। শনিবার গভীর রাতে তাঁকে খড়িবাড়ি থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়। রবিবার তাঁকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।

এই ঘটনা শুধু সীমান্ত নিরাপত্তার প্রশ্নই তোলে না, বরং জাল নথি তৈরির চক্র, দালালদের সক্রিয়তা এবং প্রশাসনিক নজরদারির সীমাবদ্ধতাও সামনে আনে। ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যবহৃত আধার কার্ড যদি এভাবে জালিয়াতির শিকার হয়, তাহলে প্রশ্ন ওঠে—নাগরিক তথ্যের নিরাপত্তা কোথায়?

About The Author