অলাভজনক! ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ করছে ইউনূস সরকার

কলকাতা: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তিনটি স্থলবন্দর পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি—চিলাহাটি ও দৌলতগঞ্জ—পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও নদিয়া জেলার সীমান্তে অবস্থিত। তৃতীয়টি তেগামুখ, মিজোরাম সীমান্তে। পাশাপাশি হবিবগঞ্জের বাল্লা বন্দরের কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।

সরকারি কমিটির মতে, এই বন্দরগুলি ‘অকার্যকর’ ও ‘অলাভজনক’। পরিকাঠামোর অভাব, বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অনুপস্থিতি এবং অতিরিক্ত সরকারি খরচ—এই তিনটি কারণ দেখিয়ে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শফিকুল আলম, প্রেস সচিব, স্পষ্ট বলেছেন— “দেশের অধিকাংশ স্থলবন্দরই নিষ্ক্রিয়। করদাতাদের টাকায় এই খরচ আর টানা সম্ভব নয়।”

এই সিদ্ধান্তে ভারতের উপর তেমন প্রভাব পড়বে না বলেই দাবি করা হচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ছোট ব্যবসায়ী, ট্রাক মালিক, শ্রমিকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। কারণ, এই বন্দরগুলি দিয়ে সীমান্ত বাণিজ্য, বিশেষ করে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পণ্য আদান-প্রদান হত।

এদিকে, ঢাকার নৌপরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে—হবিবগঞ্জের বন্দরটিতে পরিকাঠামো থাকলেও ভারতের অংশে রাস্তা ও সংযোগের অভাব রয়েছে। ফলে কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে।

রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এই সিদ্ধান্ত কি শুধুই অর্থনৈতিক, নাকি এর পেছনে রয়েছে কূটনৈতিক বার্তা? বিশেষ করে যখন ভারত সরকার সম্প্রতি বাংলাদেশের কিছু পণ্যের উপর স্থলপথে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা চাইছেন, দুই দেশের সরকার আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজুক। কারণ, স্থলবন্দর শুধু বাণিজ্য নয়, দুই দেশের সম্পর্কেরও প্রতীক।

  • বাংলাদেশ সরকার তিনটি স্থলবন্দর পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে দু’টি পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তঘেঁষা। এই পদক্ষেপে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যে কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও এই বন্দরগুলি ‘নিষ্ক্রিয়’ ও ‘অলাভজনক’, পরিকাঠামোর অভাব, বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অনুপস্থিতি এবং অতিরিক্ত সরকারি খরচ—এই তিনটি কারণ দেখিয়ে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেল।

About The Author