ঢাকা: বাংলাদেশে ফের অস্থিরতা! ছাত্রনেতা শরিফ ওসমান হাদি নিহত হওয়ার পর রাতভর ঢাকাসহ একাধিক শহরে তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। হাদি, যিনি ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের সময় আলোচনায় আসেন এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন, তাঁকে গত সপ্তাহে ঢাকা শহরে নির্বাচনী প্রচারের সময় মুখোশধারী দুষ্কৃতীরা গুলি করে। পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি তোলে। ঢাকায় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার–এর দপ্তরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, কর্মীরা ভিতরে আটকে পড়েন। চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের বাইরে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে তীব্রভাবে ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়। রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ও আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ভারত ইতিমধ্যেই ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনারকে ডেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং হাদির হত্যাকাণ্ডে ভারতের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের প্রধান নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনুস টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন, শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে এবং জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। ফেব্রুয়ারি মাসে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সহিংসতা বাংলাদেশে নতুন অস্থিরতা তৈরি করেছে।

