মেয়েকে চকোলেট দিয়ে বেরিয়েই মর্মান্তিক পরিণতি কাঞ্চনজঙ্ঘার গার্ডের

সকালে ছোট্ট মেয়ের হাতে চকলেট দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, কিন্তু ডিউটি করে আর ঘরে ফেরা হল না। মালগাড়ির ধাক্কায় মর্মান্তিক পরিনতি হল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের রেল গার্ডের। ব্যক্তির আকস্মিক প্রয়াণে শোকে পাথর স্ত্রী-পরিবার।

শিলিগুড়ির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ছোট্ট মেয়ে, স্ত্রী এবং মা-কে নিয়ে থাকতেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড আশিস দে। সোমবার সকালে আট’টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরন আশিস। মেয়েকে চকোলেট দিয়ে বলে যান রাতে বাড়ি ফিরব। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রা শুরু করার কিছু পরেই আশিস দের পরিবার জানতে পারে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রাঙাপানি ষ্টেশনের কিছু দূরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সকাল ন’টায় বাড়ির সদস্যরা আশিসের মৃত্যু সংবাদ জানতে পারে। এমন সংবাদ শোনার পরেই আশিস দের স্ত্রী, সন্তান-সহ পরিবার কার্যত শোকে পাথর।

কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বাড়ছে মৃতদেহের স্তূপ, আহত বহু যাত্রী। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৯। যদিও বেসরকারি সূত্রে সংখ্যাটা ১৫। সোমবার সকালে ঘটে যাওয়া এই রেল দূর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মালগাড়ির চালক, সহকারি চালক এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা ট্রেনের গার্ড আশিস দে।

সোমবার সকালের ঘটনার পর বিকেলে এলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, কি কারণ এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হবে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্স হ্যান্ডলের মাধ্যমে জানিয়েছেন, রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ২.৫ লক্ষ টাকা ও সামান্য জখম যাত্রীদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।