নয়াদিল্লি: লোকসভায় আজ এক ঐতিহাসিক ও উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তের সাক্ষী থাকল দেশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তিনটি সাংবিধানিক সংশোধনী বিল পেশ করতেই শুরু হয় তীব্র বাকবিতণ্ডা। বিলগুলোর মূল প্রস্তাব—যদি কোনও প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রী গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ৩০ দিনের বেশি জেল খাটেন, তবে তাঁকে পদচ্যুত করা হবে।
এই বিলের বিরোধিতা করেন কংগ্রেস সাংসদ কে.সি. বেণুগোপাল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “নৈতিকতার দোহাই দিয়ে বিল আনা হলেও, অমিত শাহ নিজেই তো গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন গ্রেফতার হয়েছিলেন!” উত্তরে শাহ বলেন, “আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল, কিন্তু আমি গ্রেফতার হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেছিলাম।”
বিল অনুযায়ী, যদি কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধি এমন অপরাধে অভিযুক্ত হন যার শাস্তি পাঁচ বছর বা তার বেশি, এবং তিনি ৩০ দিন ধরে জেলে থাকেন, তবে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল বা মুখ্যমন্ত্রী (প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে) তাঁকে ৩১তম দিনে পদচ্যুত করবেন। তবে মুক্তি পাওয়ার পর পুনঃনিয়োগের সুযোগ থাকবে।
এই বিল ঘিরে রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন, “এটাই সময়ের দাবি”—রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করার পথে সাহসী পদক্ষেপ। আবার কেউ আশঙ্কা করছেন, “বিরোধীদের নিশানা করতেই এই বিল!”