জলপাইগুড়ি: এক তরুণের নিখোঁজের ঘটনায় চার বন্ধুকে থানায় ডেকেছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করে সেই রাতেই থানার একটি ঘরে তাদের থাকতে বলা হয়েছিল। আর সেখানেই ঘটে গেল বিপত্তি। থানার মধ্যে এক বন্ধুর ঝুলন্ত দেহ মিলল। ঘটনাকে ঘিরে রহস্য! শোকের ছায়া রাজগঞ্জের চেওলিবাড়িতে।
পরিবার এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে এ. খান নামের একটি ছেলে তিনদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। সেই ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রাজগঞ্জের ওই তরুণ সহ ছেলেটির চার বন্ধুকে মাদারিহাট থানায় ডেকেছিল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ সেরে থানার চাইল্ড কেয়ার কর্নারে একটি ঘরে রাতযাপন করতে বলা হয়। পড়ে সেই ঘরে গিয়ে পুলিশ দেখে, ঘর লাগোয়া বাথরুমের ভেন্টিলেটরে মাফলার দিয়ে ফাস লাগিয়ে ঝুলে রয়েছে ওই তরুণ।
এই ঘটনার পর ভোরের আলো থানায় তরুণের পরিবারকে খবর দেয় পুলিশ। ছেলেটির বাড়ির লোকজন এসে দেহটি সনাক্ত করে। খবর জেনে, কান্নায় ভেঙে পড়েছে বাড়ির লোকজন। পরিবার জানাল, তাদের ছেলে মেকআপ আর্টিস্টের কাজ করত। নিজেও মাঝে মধ্যে মেয়ের মতই সাজত। তরুণের বাবা জানাল, গত রবিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল। কি এক কাজে কুচবিহারে গিয়েছিল বলে জানায়। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল। বুধবার তাঁরা জানতে পারেন, ছেলে আর নেই। পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই তরুণ সহ চার বন্ধুই সমকামী ছিলেন। তবে থানার ভেতরেই কিভাবে এই কাণ্ড ঘটল? সম্পর্কে রহস্য রয়েছে কি না? সত্য উদ্ঘাটনে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চাইছে পরিবার।