৪০ দিন পর জামিন পেলেন বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর সঙ্গে আরও ৬৩ আইএসএফ কর্মীরাও ছাড়া পেলেন। আদালতে পুলিশের ওপর মারধর করার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জামিন মঞ্জুর করল আদালত।
দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফ-এর অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের কর্মীরা। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। সে দিনের ঘটনায় ধর্মতলা চত্বর বন্ধ করে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগে নওশাদ সহ ৬৩ জনকে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করে। ৪০ দিন জেলে থাকার পর বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত প্রত্যেকের জামিন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল।
জামিন পেলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। পুলিশকে মারধরের যে অভিযোগ উঠেছিল নওশাদ ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে, সেই মারধরের কোনও প্রমাণ রাজ্য দেখাতে পারেনি আদালতে, জানিয়েছেন মামলাকারীর আইনজীবী। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ বুধবারই রাজ্যের কাছে প্রশ্ন রেখেছিল, পুলিশকে মারধর করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তার প্রমাণ কোথায়? বুধবার নওশাদের ভাষণের ভিডিয়োও দেখেছিলেন বিচারপতিরা। প্রমাণ দেওয়ার জন্য একদিন সময় চাওয়া হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবারও কোনও প্রমাণ রাজ্য দিতে পারেনি রাজ্য। এরপরই জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।