জলপাইগুড়ি: কথায় বলে রাখে হরি তো মারে কে! জীবনের প্রতি চরম হতাশা ও অনটনের জেরে রেললাইনে আত্মঘাতী হতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। লোকো ইন্সপেক্টরের তৎপরতায় ট্রেন থামিয়ে ওই ব্যক্তির প্রাণ বাঁচালেন দুই রেলকর্মী।
রবিবার দুপুর ২টা ১৬ মিনিটের ঘটনা। সোমবার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের তরফে ওই ভিডিও প্রকাশ করে দুই চালক ও ওই লোকো ইন্সপেক্টরকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রবিবার নিউ ময়নাগুড়ি স্টেশন ছেড়ে দোমহনি স্টেশনের দিকে আসার সময় নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে শিয়ালদাগামী ডাউন তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে থাকা কর্তব্যরত লোকো ইন্সপেক্টর চন্দন সরকারের নজর পড়ে ওই ব্যক্তির গতিবিধির উপর। আচমকাই তিনি লক্ষ্য করেন, ওই ব্যক্তি রেল লাইনের উপর মাথা দিয়ে হঠাৎ শুয়ে পড়লেন। মুহূর্তেই তিনি বিষয়টি চালক ও সহকারী চালকের নজরে আনেন।
এরপর রীতিমতো ঝুঁকি নিয়ে ওই ব্যক্তির অবস্থানের দেড়শো মিটার আগে কোনওক্রমে আপতকালিন ব্রেক কষে ট্রেনটিকে দাঁড় করানো হয়। তারপরেই ইঞ্জিন থেকে নেমে ওই ব্যক্তিকে টেনে তোলেন চন্দন বাবু। অনেক বুঝিয়ে মানসিক শক্তি যুগিয়ে ওই ব্যক্তিকে আরপিএফ আধিকারিকদের হাতে তুলে দেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম রোহিত সরকার। পেশায় বেসরকারি পরিবহন কর্মী ছিলেন। কাজ হারিয়ে হতাশায় আত্মঘাতী হতে এসেছিলেন বলে তিনি স্বীকার করেছেন। ট্রেনের কর্মীর তৎপরতায় ওই ব্যক্তিকে বাঁচান গিয়েছে। রেলের তরফে তাঁকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।