বাজার থেকে ফেরার পথে ৩০ টাকার লটারির টিকিট কেটেছিলেন যুবক। আর তাতেই বদলে গেল ভাগ্য! এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতলেন বেলাকোবার এক যুবক। ছোটখাট ব্যবসা করে কোনওরকমে দিন কাটছিল, কিছু আর্থিক সমস্যাও রয়েছে তার। ৩০ টাকার লটারির টিকিট কেটে কোটিপতি হয়ে গেলেন সেই ব্যবসায়ী।
বেলাকোবার ডাক্তার পাড়ার বাসিন্দা টগর সরকার লটারির টিকিট কেটে কোটি টাকার পুরস্কার জিতেছেন। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তার খাতিরে বেলাকোবা পুলিশ ফাঁড়িতে যোগাযোগ করেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বুধবার বিকেলে বাজার করে ফিরছিলেন যুবক। সেই সময় একটি লটারির টিকিট কেটেছিলেন, আর তাতেই ভাগ্য বদলে গেল যুবকের। তিনি লটারির টিকিট কেটেছিলেন যার নাম্বার ছিল ৭৮ এইচ ৫৪৪৬। সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ খেলার রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেই দেখা যায় টগরবাবু প্রথম পুরস্কার হিসেবে এক কোটি টাকা জিতে গিয়েছেন। প্রথমটায় বিশ্বাস না হওয়ায় এরপরে তিনি যোগাযোগ করেন রাজগঞ্জের শিক্ষা কর্মাদক্ষ রূপালী দে’র সঙ্গে। তারপর সেখান থেকে বেলাকোবা পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত জানান।
টগর বাবু জানান, শিকারপুর হাট থেকে বাজার করে ফেরার পথে ৩০ টাকা খরচ করে একটি লটারির টিকিট কেনেন তিনি। সন্ধ্যা ছ’টার দিকেই ছিল সেই খেলা। ৩০ টাকার টিকিট কেটেই ভাগ্যের চাকা খুলে গেল I রাজগঞ্জ ব্লকের বেলাকোবা ডাক্তার পাড়ার বাসিন্দাI লটারি মেলানোর পর পৌছান পঞ্চায়েত সমিতি কর্মদক্ষা রূপালী দে কাছে,সবকিছু শুনে রুপালি দেবী টগর কে সঙ্গে নিয়ে আসেন বেলাকোবা পুলিশ ফাঁড়িতে I তারপর পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে এফ আই আর দায়ের করেন , ১ কোটি টাকার লটারি পেয়ে টগর খুবই খুশি I
ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির বেলাকোবায়। সেখানকার বাসিন্দা টগর সরকার , চা পাতার ব্যবসা করেই রোজগার। আর তাতেই চলে সংসার। তাই মোটা টাকা বেঁধে যাওয়ার আশায় মাঝে মধ্যেই লটারির টিকিট কাটতেন টগর সরকার।
এদিনই তেমনই মঙ্গলবার বেলাকোবার শিকারপুর হাট থেকে দুপুরে ৩০ টাকার টিকিট কাটেন টগর সরকার । এরপর সন্ধ্যা নাগাদ সেই টিকিট মিলিয়ে দেখতেই চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায় তাঁর। দেখেন টিকিটে প্রথম পুরস্কার অর্থাৎ কোটি টাকা তাঁরই বেঁধে গিয়েছে। এই ঘটনা নিজেই বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। বারবার করে টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখতে থাকেন। আর সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়ার পর, বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করলেন না। ছুটে গেলেন বেলাকোবা পুলিশ ফাড়িতে। সেখান থেকেই তাকে রাজগঞ্জ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এবং সেখানে নিজের সুরক্ষার জন্য একটি জেনারেল ডায়রি করেন তিনি। তবে সব মিলিয়ে কোটি থাকায় খুশী তিনি।