কলকাতা: দীর্ঘ লড়াই শেষ। মারণ রোগ হারিয়ে’ই দিল ঐন্দ্রিলাকে। দীর্ঘ রোগ-ভোগের পর রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেত্রী। ঐন্দ্রিলা সব্যসাচীর ভালোবাসার গল্প রূপকথা হয়েই রয়ে গেল। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল মাত্র ২৪ বছর। ঐন্দ্রিলার প্রয়ানে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
টলিপাড়ার অভিনেত্রী অনেক আগে থেকেই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকেই মারন রোগের সঙ্গে তাঁর জীবনের লড়াই সবার মুখে মুখে ছড়িয়েছিল। সেই সঙ্গে সকলে জেনে ছিল জীবনে হার না মানার গল্প। জেনেছিল সব্যসাচি-ঐন্দ্রিলার ভালোবাসার গল্প। গত ১ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল অভিনেত্রী। তারপরই কোমায় চলে যান তিনি। আর ফিরল না জ্ঞান। হাসপাতালেই প্রয়াত হলেন অভিনেত্রী।
গত ১৪ নভেম্বর থেকে ঐন্দ্রিলার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছিল। গত রাতে পরপর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এই ধাক্কা আর সামলাতে পারলেন না ঐন্দ্রিলা। সকলের শত দোয়া-প্রার্থনা স্বত্বেও ফিরলেন না অভিনেত্রী।
এর আগেও দু’বার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েও চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসেন ঐন্দ্রিলা। ২০১৫ সালে, প্রথম বার ক্যানসার ধরা পড়ে তাঁর। কর্কট রোগের আক্রমণ হয়েছিল তাঁর অস্থিমজ্জায়। দ্বিতীয় বার ২০২১ সালে। সে বার ফুসফুসে টিউমার। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গেই চলছিল তাঁর অভিনয়ের কাজ। সেই জীবন যুদ্ধের কাহিনী ছড়িয়ে পড়েছিল সবার মুখে মুখে। তবে এবারে আর বাড়ি ফেরা হল না। সকলের মায়া ত্যাগ করে পারি দিলেন না ফেরার দেশে।