জলপাইগুড়ি: বছরের তিনেকের শিশু দুরারোগ্য রোগে ভুগছিল। রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তের সহযোগিতায় সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরল একরত্তি। এরপরই তাঁকে ভগবানের সঙ্গে তুলনা করে তাঁকে ধন্যবাদ জানাতে রেঞ্জ অফিসে ছুটে গেলেন শিশুটির বাবা-মা। দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা করিয়ে ভগবান তুল্য সম্মান পেলেন রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত।
রাজগঞ্জের মাঝিয়ালি অঞ্চলের ধনেশ্বরী গ্রামের বাসিন্দা দিনমজুর রাজেশ রায়ের বছর তিনের ছেলে দুরারোগ্য রোগে দীর্ঘদিন ধরেই কষ্ট পাচ্ছিল, সুচিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যাওয়ার দরকার ছিল, তবে আর্থিক অনটনে তা হয়ে উথছিল না। নানা জায়গায় ঘুরেও চিকিৎসার জন্য অর্থ মিলছিল না। এরপর ওই শিশুর জন্য আবেদনে সারা দেন বেলাকোবার রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত। এরপর তিনি রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালের মাধ্যমে জলপাইগুড়ি জেলার স্বাস্থ্য দপ্তরে যোগাযোগ করে শিশুটির জন্য শিশুসাথী প্রকল্পের ব্যবস্থা করেন।
প্রথমে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় বিপি পোদ্দার হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে প্রায় ২০ দিন থাকলেও সুফল না পাওয়ায় পরিবারটি ফিরে আসে। ফের শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। অবশেষে কলকাতার আর এন ট্যাগর হাসপাতালে চিকিৎসার পর শিশুটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। রাজেশ রায় বলেন, ‘সঞ্জয় স্যার ভগবানের মতো পাশে দাঁড়িয়েছেন বলেই আমার ছেলের চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়েছে। ছেলে এখন অন্য শিশুদের মতো জীবনযাপন করছে। তাঁর এই উপকার আজীবন মনে থাকবে।’