রাজগঞ্জ: রথের মেলায় যাওয়ার নাম করে দুই শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে বেপাত্তা হয়ে গেলেন এক গৃহবধূ। সঙ্গে করে ৫ লক্ষাধিক টাকা, বেশ কয়েক ভরি সোনার গয়না এবং যাবতীয় সরকারি নথি নিয়ে আর কোনও খবর নেই তিন জনেরই। যেন, আর ফিরে আসতে না হয় সেই ব্যবস্থাই করা হয়েছে বলে অনুমান পরিবারের। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের আমবাড়ি এলাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য।
বাড়ির পাশে রথের মেলার আয়োজন, সন্ধ্যায় বাড়িতে শাশুড়ি ছাড়া আর কেউ নেই, সেই সুযোগে ২ সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে যান গৃহবধূ। ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও কোনও খোঁজ নেই তাদের। এদিকে, ঘরে রাখা ৫ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা, সেই সঙ্গে দুই শিশু সন্তানের দরকারি নথি পত্র, বাসন-গয়না সবই ফাঁকা। অবশেষে স্বামী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। পরিবারের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে ফেসবুকে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন ওই গৃহবধূ। সেই নিয়ে বেশ কয়েকবার স্বামীর সঙ্গে কথা কাটাকাটিও হয়েছে। মেয়ে খারাপ চক্করে পড়েছে, একথা নিজেই জানালেন মেয়ের বাবা-মা, যদিও তাঁরা চান, তাদের মেয়ে ভালোয় ভালোয় ফিরে আসুক।
পরিবার সূত্রে খবর, নিখোঁজ মহিলার নাম প্রিয়া বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে আট বছর আগে আমবাড়ি মেহেন্দিগছের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাসের বিয়ে হয়েছে। বর্তমানে ১ বছর বয়সের পুত্র সন্তান এবং ৬ বছর বয়সের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। স্বামী গোপাল পোলট্রির ব্যবসা করেন। তিনি জানান, বিয়ের পর থেকে কখনও অশান্তি ছিল না। তবে, এই ঘটনার ৬ মাস আগে থেকে তাঁর স্ত্রী ফেসবুকে ব্যস্ত থাকতেন, বেশ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছিলেন। সেই নিয়ে অশান্তি বাধত। ঘটনার ১০ দিন আগেও এই নিয়ে বাড়ি ছাড়ার কথা বলেছিলেন প্রিয়া, দাবি গোপালবাবুর। এরপর এই ঘটনা। গোপাল বাবুর অভিযোগ, কোনও ব্যক্তি আগে থেকেই পরিকল্পনা করে তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে যাবার পরিকল্পনা করেছিল। বাড়ির মেজো বৌ নমিতা বিশ্বাস জানান, ঘটনার দিন বাড়ি প্রায় ফাঁকাই ছিল। সন্ধ্যায় রথের মেলায় যাচ্ছি বলে জানিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন এরপর আর কারও খোঁজ নেই। ঘটনার পর আমবাড়ি থানায় লিখিত জানানো হয়েছে।