‘মুখ্যমন্ত্রীর ৬৪টি প্রকল্প থাকতেও বাইরে যান কেন?’, স্থানীয়দের প্রশ্ন বিধায়কের

জলপাইগুড়ি: ‘মুখ্যমন্ত্রী কি দেয়নি, কি পাননি আপনারা?’, ‘রাজ্যের ৬৪টি প্রকল্প থাকতে মানুষ বাইরে যাই বা কেন? আর পাচারের জালে পড়েই কেন?’ মানব পাচার সংক্রান্ত সচেতনা প্রচারের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এলাকার মানুষদের উদ্দেশ্যে একথাই জানালেন রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায়।

বিধায়কের কথায়, এলাকায় গরীব মানুষ এখন আর নেই। মমতা সরকার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসার পর এলাকার মহিলাদের পাশাপাশি স্থানীয়দের কাজের ব্যাপারে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে যাবতীয় ৬৪টি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এলাকার মানুষ কাজ পাচ্ছে। তারপরও অনেকেই বাইরে কাজ করতে যাচ্ছেন এবং অনেকেই প্রতারণার ফাঁদে পা দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে রাজগঞ্জের সন্ন্যাসী কাটায় মানব পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে সর্তকতা প্রচারের উদ্দেশ্যে একটি শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে এলাকা বাসীদের মানব পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে সতর্ক করতেই এই উদ্যোগ নেয় পুলিশ। রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটায অঞ্চলের ডাহুক ভ্যালি চা বাগানে এই অনুষ্ঠান হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত, রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

এই ব্যাপারে বিজেপির কটাক্ষ, রাজ্যের মানুষ এই সরকারের আমলে কি পাচ্ছে, তা রাজ্যবাসী ভালোই জানেন। কাটমানি, ধর্ষণ, বোমাবাজি থেকে বাচতেই মানুষ বাইরের রাজ্যে কাজে যাচ্ছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ৫০০ টাকা দিয়ে যদি সংসার চলত, তাহলে নিশ্চয়ই রাজ্যের বাইরে যেতে হত না কাউকে।

About The Author