টাকা লেনদেন করতে গিয়ে বারংবার সার্ভার ত্রুটির সম্মুখিন হয়ে গুগলে খুজতে গিয়েছিলেন সমাধান। ব্যাঙ্কের হেল্পলাইন নাম্বার মনে করে সমস্যা জানাতেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কাটা গেল ৬ লক্ষাধিক টাকা।
অনলাইনে টাকা জমা করতে গিয়েই সার্ভারের সমস্যা। দু’দিন এই সমস্যা পেয়ে এই ব্যাপারে সমাধান পেতে গুগলে সার্চ করে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করেন এবং তারপর মেসেজে পাঠানো নির্দেশ মত কাজ করেন। ওপার থেকে বার্তা আসে আপনার কাজ হয়ে গেছে, আগামীতে এই সমস্যা হবে না। সেই রাতেই ঘুমোনোর কিছু আগে মেসেজ দেখে রীতিমত চমক ভাঙ্গে। দু’দফায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কাটা গেছে ৬ লক্ষ ৬ হাজার টাকা। এমনটাই ঘটেছে রাজগঞ্জের ফাটাপুকুরের ব্যবসায়ী চম্পা চক্রবর্তীর সঙ্গে।
ফাটাপুকুর রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে তাঁর একটি দোকান রয়েছে। লেনদেনের ক্ষেত্রে অনলাইন মাধ্যমে বেশিরভাগ কাজ করেন। গত ২২ এবং ২৩ তারিখ টাকা জমা করতে গিয়ে সার্ভারের সমস্যা দেখাচ্ছিল বলে জানালেন তিনি। এরপর গুগলে সমাধান খুজতে ব্যাঙ্কের হেল্পলাইন খুঁজে সেখানে যোগাযোগ করেন। আর সেখান থেকেই তার মোবাইলে মেসেজে লিঙ্ক পাঠানো হয় এবং সেখানে ব্যাঙ্কের যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে বলা হয়। নির্দেশ মতই কাজ করেছিলেন চম্পাবাবু। সঙ্গে সঙ্গে কিছু বোঝা না গেলেও রাতে তিনি জানতে পারেন তার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়েছে প্রথমে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার এবং পরে ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা। দুশ্চিন্তায় ঘুম উবে গিয়েছে চম্পাবাবুর।
পরদিন প্রথমে ছুটে যান ব্যাঙ্কে এবং তারপর জলপাইগুড়ি সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, সিমলার একটি অ্যাকাউন্টে উড়ে গিয়েছে টাকা। সমস্যা জানাতে যে নাম্বারে ফোন করেন সম্ভবত সেটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত নয়। সাইবার সেলের তরফে আপাতত তদন্ত শুরু হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টাকা কি কারণে কেটে নেওয়া হল, বা কোনও চক্র এর পেছনে রয়েছে কিনা, ভেবে রাতের ঘুম ছুটে গিয়েছে ব্যবসায়ীর। তার দাবি, গায়েব হওয়া ৬ লক্ষাধিক টাকা যাতে তিনি ফিরে পান সেই ব্যবস্থা করুক ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ।