সিডনি হারবারের আদলে জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবায় তৈরি হচ্ছে ঝুলন্ত সেতু। ভোরের আলোয় পর্যটকদের স্বাগত জানাতে সেতুটি তৈরি করা হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে ২০২২-এই উদ্বোধন করা হতে পারে সেতুটি। ইতিমধ্যেই এই ব্রিজকে ঘিরে পর্যটকদের আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
রোজই সেতু দেখতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ে গজলডোবায়। এখানে ঘুরতে এলাম, অথচ ব্রিজকে পেছনে রেখে সেলফি নিলাম না, এমন মানুষ খুব কমই চোখে পড়ে। এখনই রীতিমত সেলফি জোন হয়ে উঠেছে ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা। সিডনির হারবারের আদলে সেতু তৈরি করতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। সেতু নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে বিশ্ব মানচিত্রে উঠে আসবে গজলডোবা ভোরের আলো। সেই লক্ষেই দ্রুত কাজ এগোচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ভোরের আলোর প্রবেশ পথে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে সেজে উঠছে এই ব্রিজ। এই সেতু তৈরি করতে পূর্ত দপ্তর প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ করবে রাজ্য সরকার। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ বিধানসভা এলাকার অন্তর্ভুক্ত গজলডোবায় তিস্তা নদীর কোলে প্রায় ২০৮ একর জমির ওপরে ‘ভোরের আলো’ মেগা পর্যটন কেন্দ্র সাজানোর কাজ চলছে। এরই অঙ্গ হিসেবে তৈরি হচ্ছে নান্দনিক ঝুলন্ত সেতু। পরিকল্পনা মাফিক ধাপে ধাপে কাজ এগোচ্ছে। মাঝে প্রায় দেড় বছর করোনা সংক্রমণের কারণে কাজে দাড়ি-কমা পড়লেও এই মুহূর্তে দ্রুত কাজ চলছে। ভোরের আলোর পাশ দিয়ে বয়ে চলা তিস্তা ক্যানালের দুটি পাড়কে জুড়তে এই সেতু তৈরি করা হচ্ছে।
রাজগঞ্জের বিধায়ক তথা গজলডোবা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় সেতু প্রসঙ্গে আরএনএফ-কে জানান, ‘রাজগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় এই কাজ হচ্ছে, যা সত্যিই গর্বের বিষয়। অস্ট্রেলিয়ার সিডনির হারবার ব্রিজের আদলে ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। সেতুটি তৈরি হলে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে ভোরের আলো।’ বর্তমানে এই সেতু নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়েই চলছে বলে অভিমত খগেশ্বরবাবুর। তিনি আরও বলেন, ‘খুব সম্ভবত ২০২২-এই সেতু চালু করা হবে। ভোরের আলোয় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর, পূর্ত দপ্তর সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি দপ্তরের সম্মিলিত চেষ্টায় কাজ এগোচ্ছে। ভোরের আলো চালুর পর থেকেই প্রচুর পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে। এখন থেকেই এই সেতুর টানে বাইরে থেকে ছুটে যাচ্ছেন পর্যটকেরা। সেতুর পাশাপাশি এলাকায় প্রচুর কাজ করা হচ্ছে।’