কেরালায় কাজে গিয়ে অপঘাতে মৃত্যু হল চাউলহাটির যুবকের। প্রায় দেড় মাস আগে কাজের সূত্রে কেরালায় গিয়েছিল রাজগঞ্জের কুকুরজান অঞ্চলের চাউলহাটি এলাকার ফাউতিয়াপাড়ার যুবক সাহাজদ্দিন আলম। বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ, কর্মস্থল থেকে রুমে ফিরে আসার পথে পেছন দিক থেকে একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। সহকর্মীরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে সাহাজদ্দিন, মাস দেড়েক আগে এলাকার কয়েকজন যুবকের সুত্র ধরে কেরালায় পৌঁছায়। সেখানে পোলট্রি ফার্মের কাজে নিযুক্ত হয় সাহাজদ্দিন। ঘটনার দিন অর্থাৎ বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ রাস্তা ধরে হেটে নিজের রুমে ফিরছিল সে। তাঁর ফেরার সময় পেছন দিক থেকে একটি ছোট যাত্রীবাহী গাড়ি সাহাজদ্দিনকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
সিসিটিভির সুত্র ধরে তদন্ত শুরু করেছে কেরালার পুলিশ। মালিক কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই ব্যাপারে সহযোগিতা করার ক্ষমতায় নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে। এদিকে দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে বিপুল খরচ এবং ব্যবস্থার প্রয়োজন। যাদের সূত্র ধরে কেরালায় কাজে গিয়েছিল সাহাজদ্দিন, তারা এলাকারই পরিচিত এবং স্থানীয় বাসিন্দা। তাদের ব্যবস্থায় আগামীকাল দেহ ফিরিয়ে আনার সম্ভবনা হয়েছে। একমাত্র ছেলের অকালমৃত্যু! কিভাবে এমন ঘটনা ঘটে গেল, তা ভেবে কুলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না সাহাজদ্দিনের পরিবারের লোকেরা।
এই ব্যাপারে রাজগঞ্জ থানার তরফে অবশ্য এখনও কিছু জানানো হয়নি। স্থানীয় সূত্রে খবর, সাহাজদ্দিন আলম তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের নেতৃত্বাধীন এসসি-এসটি-ওবিসি সংগঠনের একজন সদস্য হিসেবে ছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করেছেন। পরে পারিবারিক স্বচ্ছলতার কথা ভেবে কেরালায় গিয়ে কাজ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়। এরমধ্যেই সাহাজদ্দিনের অকাল মৃত্যু, এই দুঃসংবাদ তাঁর পরিবারে যেন বজ্রাঘাত হিসেবে নেমে এল। এই খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।