কলকাতাঃ মাস দু’য়েক আগে এখানেই ডার্বি দেখার জন্য হাজার হাজার লোকের আসার কথার ছিল।
কিন্তু এ কী অবস্থা যুবভারতীর !? আমফানের তাণ্ডব যুবভারতীর এমন হাল করেছে, দেখলে খুব কষ্টই হবে।
গাছগুলো সারিবদ্ধভাবে মাথা নুইয়ে পড়ে রয়েছে। যুবভারতীর কম্পাউন্ডে প্রথম প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে দু’দুটো সুউচ্চ বাতিস্তম্ভকে এমনভাবে মাটি থেকে উপড়ে আছাড় মেরে ফেলেছে শক্তিশালী আমফান। যা অবিশ্বাস্য ব্যাপার।
ফেন্সিং ভেঙে মুখ থুবড়ে পড়েছে বাতিস্তম্ভ দুটো। যার এক একটিতে ফ্লাডলাইট রয়েছে বারোটি করে। বুধবার রাতের সাইক্লোনে যা ভেঙেচুড়ে শেষ। আমফান এতটাই শক্তিশালী মাটি উপড়ে বাতিস্তম্ভগুলোকে ফেলে দিয়েছে মাঠের মধ্যে।
যুবভারতীর যে টানেল দিয়ে ফুটবলাররা মাঠে নামেন, সেই টানেল জলমগ্ন। কোমর সমান জল। ফলে যখন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস যুবভারতীর ক্ষয়ক্ষতির পরিদর্শনে গেলেন, মাঠে যেতে পারলেন না টানেল দিয়ে। যেতে হল ঘুর পথে। সেখানে গিয়েও বিপত্তি। মাথা তুলতেই দেখলেন পুরো স্টেডিয়ামের ছাউনির অনেকটাই উড়ে গিয়েছে। যা নতুনভাবে তৈরি হয়েছিল তিনবছর আগে অনূর্ধ্ব ১৭ ছেলেদের ফুটবল বিশ্বকাপের সময়। শুধু কি ছাউনি? সুদৃশ্য প্রেসবক্সে কাঁচের দেওয়ালও ভেঙে গিয়েছে। যা দেখে ক্রীড়ামন্ত্রীর মাথায় হাত। পিডব্লুডির ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে চললেন ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে। প্রথম যুবভারতীর প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড। তারপর স্টেডিয়ামের ভিতর। সবকিছু পর্যবেক্ষণ করার পর দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করতে বসে গেলেন স্টেডিয়ামেই। যেখানে প্রত্যেককে নির্দেশ দিলেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট দিতে।
পরে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত প্রিয় জায়গা হল এই যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে উনি এই স্টেডিয়ামকে আধুনিকভাবে সাজিয়ে আন্তর্জাতিক মানের করে তুলেছিলেন। সেই স্টেডিয়ামের এইরকম অবস্থা দেখে কষ্ট হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে কবে আর কে পেরেছে। নতুন করে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে মেরামত করে পুরোনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য দ্রুতই কাজ শুরু করে দেব। সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারদের বলা হচ্ছে, দ্রুত আমাক রিপোর্ট পাঠাতে।’’