রাজগঞ্জ: ইদের জন্য মুদি এবং মিষ্টির দোকান এক ঘন্টা বেশি খোলা রাখার নির্দেশ। নির্ধারিত সময়েই দোকান খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ না মানলে ব্যবসায়ীদের জন্য কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি বিধায়কের। রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় জানান, করোনা পরিস্থিতিতে বাজার দোকানের জন্য সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সামনে ইদের জন্য মুদি এবং মিষ্টির দোকান ১ ঘণ্টা বেশি খোলা রাখা জেতে পারে। তারপরও যদি ব্যবসায়ীরা নির্দেশ না মানেন তাহলে প্রথমে তাদের কড়া ওয়ার্নিং দেয়া হবে। পরপর দুবার সাবধান করেও কাজ না হলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। এব্যাপারে পুলিশ অধিকারিকদের পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বৈঠক করলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক এবং পুলিশ আধিকারিকেরা। সরকারি নির্দেশ অনুসারে সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা এবং বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যে ৭ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার নির্দেশ রয়েছে। তবে সামনে ইদের জন্য মুদির দোকান এবং মিষ্টির দোকান একঘন্টা সময় বেশি খোলা রাখা যেতে পারে। বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
এদিকে, রাজগঞ্জ থানার তরফে ইমামদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন রাজগঞ্জের প্রশাসনিক কর্তারা। জামাতগুলিতে ৫০ জনের বেশী জমায়েত করা যাবে না। মাস্ক ও স্যানিটাইজার প্রতিটি জামাতে মজুত রাখতে হবে। এর পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। থানার আইসি পঙ্কজ সরকার এবং রাজগঞ্জ জয়েন্ট বিডিওর উপস্থিতিতে হয় এই বৈঠক। বৈঠকে রাজগঞ্জ থানা অন্তর্ভুক্ত প্রায় সবকটি জামাতের ইমামরা অংশগ্রহণ করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোভিড পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন নিয়মবিধি জানিয়ে দেওয়া হয় বৈঠক ডেকে। সুখানী গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য শেখ ওমর ফারুক জানান, সবার আগে জীবন, জীবন বাচলে ধর্ম বাচবে। ঈদের আনন্দে ফাটল ধরলেও প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ীই নামাজ হবে বলে তিনি জানান।