জলপাইগুড়ি: হাইকোর্টের দেওয়া ডেডলাইন শেষ! রাজগঞ্জের BDO-র বিরুদ্ধে জারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা! ব্লক প্রশাসনে চরম অস্বস্তি তৈরি হয়েছে।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী অপহরণ ও খুনের মামলায় নাম জড়ানো রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে আজ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই তিনি অফিসে অনুপস্থিত থাকায় প্রশাসনিক কাজকর্ম কার্যত ব্যাহত হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল। পরে তিনি বারাসাত আদালত থেকে জামিন পান। তবে সেই জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পুলিশ হাইকোর্টে যায়। হাইকোর্ট তাঁকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু তিনি আত্মসমর্পণ না করায় বিষয়টি আরও জটিল আকার নেয়। এরপর তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বলে জানা গেছে। তবে বিধান নগর থানার পুলিশের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানানো হয়েছিল। শেষ খবরে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
অফিস সূত্রে কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। আনারুল হক, এক অফিস কর্মী বলেন, “আমরা খবরের মাধ্যমেই জানতে পারছি যে স্যারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। অফিসে তিনি আজ উপস্থিত নেই। প্রশাসনিক কাজকর্মে সমস্যা হচ্ছে।” অন্য এক কর্মী সবিতা দত্ত জানান, “এমন ঘটনা আগে কখনও দেখিনি। একজন বিডিওর বিরুদ্ধে এত বড় অভিযোগ উঠেছে, তাতে আমরা সবাই মানসিকভাবে খুব চাপে আছি।”
প্রশ্ন উঠছে, অভিযুক্ত বিডিও কি আদৌ আইনের হাত থেকে রেহাই পাবেন? কবে তিনি আত্মসমর্পণ করবেন, নাকি আরও উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন? গোটা বিষয়টির দিকে কড়া নজর রেখেছে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন।

