ওড়িশার সম্বলপুরে নিহত মুর্শিদাবাদের শ্রমিক জুয়েল শেখকে বাংলাদেশি সন্দেহে নয়, বিড়ি নিয়ে বচসার জেরেই খুন করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
মুর্শিদাবাদের বছর ২১-এর জুয়েল শেখের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রথমে অভিযোগ ওঠে, বাংলায় কথা বলার কারণে তাঁকে বাংলাদেশি ভেবে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছিল। তবে ওড়িশা পুলিশের দাবি, ঘটনাটি ভাষা বা জাতীয়তার সঙ্গে যুক্ত নয়। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, বিড়ি নিয়ে বচসার জেরেই এই মারাত্মক সংঘর্ষ ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে কাজ শেষে ফেরার পথে জুয়েল ও তাঁর সহকর্মীরা স্থানীয় ছ’জনের একটি দলের মুখোমুখি হন। তাঁদের মধ্যে একজন বিড়ি চাইলে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে হাতাহাতি হয় এবং সেই সময় জুয়েলকে বেধড়ক মারধর করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সম্বলপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
ওড়িশা পুলিশের আইজি (নর্দান রেঞ্জ) হিমাংশুকুমার লাল জানিয়েছেন, “আমরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছ’জনকেই গ্রেফতার করেছি। তদন্ত চলছে।”
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল অভিযোগ করেছে, বাংলাভাষী হওয়ায় তাঁকে বাংলাদেশি ভেবে হত্যা করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, বিজেপির বাংলাবিরোধী প্রচারের ফলেই এই ঘটনা। তবে পুলিশ স্পষ্ট জানিয়েছে, নিহত যুবক বাঙালি না বাংলাদেশি, তার সঙ্গে হত্যার কোনও সম্পর্ক নেই।

