নয়াদিল্লি: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্র দাসকে নির্মমভাবে হত্যা করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। গত সপ্তাহে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় কর্মস্থলে বিবাদের জেরে তাঁকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করে জনতা। পরে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় এবং দেহ গাছে বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই নৃশংস ঘটনায় দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রন্ধীর জয়সওয়াল শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনায় আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমাদের কর্মকর্তারা ঢাকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।” তিনি আরও জানান, ভারত পরিস্থিতির দিকে নিবিড় নজর রাখছে এবং প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা চালাচ্ছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও ঘটনার নিন্দা করেছে এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ইতিমধ্যেই দশজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে এই হত্যাকাণ্ডে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কেও চাপ তৈরি হতে পারে।
এদিকে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে সংখ্যালঘু সুরক্ষার দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। ভারত সরকার জানিয়েছে, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তারা চাপ সৃষ্টি করবে।

