নববধূ বাড়িতে ঢুকতেই শ্বশুরমশাইয়ের মৃত্যু, বৌভাতের বদলে বাড়িতে কান্নার রোল

জলপাইগুড়ি: ছেলের বিয়ের পর নতুন বৌ বাড়িতে ঢুকতেই শ্বশুরমশাইয়ের মৃত্যু। ছেলের বউ না দেখেই পরপারে চলে গেলেন বাবা। বিয়ে বাড়িতে নেমে এল শোকের আবহ। ভেস্তে গেল বৌ ভাতের অনুষ্ঠান। তাঁর আগেই বিয়ের ভাঙ্গা শুরু হল।

জলপাইগুড়ির ধুপগুড়িতে নববধূর জীবনের প্রথম দিনেই এমন অপ্রত্যাশিত ঘটনার সাক্ষী হয়ে পরিবার ও গ্রামবাসীরা হতবাক। বৌভাতের আয়োজন বাতিল হয়ে যায়, পরিবর্তে শুরু হয় শোকসভা।

জানা গেল, ছেলের বাবা অনেকদিন থেকে ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন। অসুস্থ বাবা যাতে তাড়াতাড়ি ছেলের বউয়ের মুখ দেখতে পারে, তাই চট জলদি ছেলের বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিলেন। কিন্তু সেই আশা পূরণ হল না। বৌমার মুখ দেখার আগেই পরপারে চলে গেলেন বাবা।

ছেলের শ্বশুর বাড়ি ময়নাগুড়ি ব্লকের স্বস্তির হাটে। বিয়ের দুপুরে ছেলে বিয়ে করতে যায় তারপরেই বিয়ে সেরে এসে দেখে তার বাবা আর নেই। বধুবরনে আনন্দের বদলে কান্নাকাটি শুরু হয় বিয়ে বাড়িতে। এরকম নজিরবিহীন ঘটনা ধুপগুড়িতে এই প্রথম, বলছেন এলাকাবাসিরা। বিয়ে বাড়িতে কান্নায় ভেঙে পড়েছে নববধূ এবং আত্মীয়-স্বজনরা। যারা বিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন তাঁদের আর বৌভাত খাওয়া হল না। বিয়ের প্যান্ডেল ভাঙ্গা শুরু হয়েছে।

 

রাজগঞ্জের খবর: পাঁচ দিনে তিনটি গরু-ছাগল শিকার করে অবশেষে খাঁচায় বন্দী চিতাবাঘ, আতঙ্ক কমল বাগানবাসীর

রাজগঞ্জের শিকারপুরে নাগপুর চা বাগান এলাকায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চিতাবাঘের আনাগোনায় আতঙ্কে দিন কাটছিল স্থানীয়দের। গত ৫ ডিসেম্বর শিকারপুর চা বাগানের চার নম্বর সেকশনে এক শ্রমিক বিনা ধোবির একটি গরু চিতাবাঘের শিকার হয় বলে দাবি। এরপর ১২ ডিসেম্বর নাগপুরে আবারও চিতার আক্রমণ ঘটে, তাতে একটি ছাগল মারা যায়। পরপর এমন ঘটনার পর আতঙ্ক বেড়ে যায় এলাকায়। বনদপ্তরের তরফে খাঁচা পাতা হলেও বাগে আসছিল না চিতাবাঘ। গত রাতেও নাগপুর চা বাগানে আরও একটি গরু চিতাবাঘের শিকার হয়।

গবাদি পশুর ওপর পর পর আক্রমণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শ্রমিক মহল্লায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গরু-ছাগল মারার পর মানুষের উপর আক্রমণ হতে পারে; এই আশঙ্কায় তারা ভীত। বিশেষ করে ধোপগুড়ি প্রাইমারি স্কুলের শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। বনদপ্তরের রেঞ্জ অফিসার রাজকুমার পাল জানান, প্রতিদিন নজরদারি চালানো হচ্ছিল এবং সচেতনতা প্রচারও করা হয়েছে।

অবশেষে পাঁচ দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বনদপ্তরের পাতানো খাঁচায় ধরা পড়ে চিতাবাঘটি। এর মধ্যেই দুটি গরু ও একটি ছাগল শিকার হয়েছে প্রাণীটির। বাঘ ধরা পড়ায় অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন চা বাগানের শ্রমিক ও বাসিন্দারা।

About The Author