৬ ডিসেম্বর ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বিশেষ দিন। ১৯৯২ সালের এই দিনে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকে দিনটি নিয়ে নানা রাজনৈতিক ব্যাখ্যা তৈরি হয়েছে।
মুর্শিদাবাদে বেলডাঙ্গায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবির। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিরতা পশ্চিমবঙ্গে।
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এই দিনটিকে ‘সম্প্রীতি দিবস’ হিসেবে পালন করছে। তাদের বক্তব্য, সমাজে বিভাজন নয়, বরং মিলন ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। তৃণমূলের কর্মসূচিতে ধর্মীয় সহাবস্থান ও সামাজিক ঐক্যের ডাক দেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে বিজেপি এই দিনটিকে ‘শৌর্য দিবস’ হিসেবে পালন করে। তাদের মতে, ১৯৯২ সালের ঘটনাটি হিন্দু সমাজের আত্মপরিচয় ও সাংস্কৃতিক সংগ্রামের প্রতীক। বিজেপির কর্মসূচিতে গর্ব ও ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধারের বার্তা দেওয়া হয়।
এই দ্বৈত পালনের মধ্যে ভারতের রাজনীতির দুই ভিন্ন দর্শন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একদিকে বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রচার, অন্যদিকে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদের প্রতীকী উদযাপন। ফলে ৬ ডিসেম্বর শুধু একটি ঐতিহাসিক দিন নয়, বরং বর্তমান রাজনীতিতে বিভাজন ও সম্প্রীতির দ্বন্দ্বের প্রতিফলন।

