এখনও SIR ফর্মই পাননি! আতঙ্কে বিডিও অফিসে এলাকাবাসীরা, নালিশ BLO-র বিরুদ্ধে

জলপাইগুড়ি: লিস্টে নাম নেই, SIR-এর এনামুরেশন ফর্মও পাননি! আতঙ্কে বিডিও অফিসে এলেন রাজগঞ্জের কামারভিটার বাসিন্দারা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যা। অভিযোগ এলাকার BLO তৃণমূলকর্মী, তাই, বিজেপিকে সমর্থন করার কারণে ওদের নাম কেটে দিয়েছে। তাই তাঁদের ফর্ম আসেনি।

এদিকে, এই ঘটনা শুনে বিজেপিকেই পাল্টা ধন্যবাদ জানালেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। তাঁর দাবি, BLO নয়, গাফিলতি নির্বাচন কমিশনের। তড়িঘড়ি SIR করতে গিয়ে অনেকের নাম বাদ পড়ছে, মমতা-অভিষেকের সেই দাবিই আজ প্রমাণ হয়ে গেল এই ঘটনায়।

SIR ফর্ম না পেয়ে ব্যাপক আতঙ্ক কামারভিটায়। শনিবার রাজগঞ্জের বিডিও অফিসে এলাকার ৪ বাসিন্দা আসেন সঙ্গে ছিলেন বিন্নাগুড়ি অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্যা শুক্লা রায়। অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে বিজেপি কর্মীদের নাম ভোটার লিস্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কামারভিটা এলাকায় ২০০২ সালে ভোটার লিস্টে এবং সর্বশেষ ভোটার লিস্টে নাম থাকা সত্ত্বেও এনুমারেশন ফর্ম দেয়নি ওই বিএলও।

এই অভিযোগে বিডিওকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা শুক্লা রায়। তিনি বলেন,  কয়েকদিন আগে আত্মঘাতী হওয়া ভুবন রায়ের মেয়ে শিবানী রায়ের নামেও ফর্ম দিতে পারেনি ওই বিএলও। ফলে এই ভোটাররা আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন।

কামারভিটা এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ সরকার বলেন, বোন, মা এবং আমার এসআইআর-এর ফর্ম আসলেও আমার বাবা আনন্দ সরকারের ফর্ম আসেনি। বাবার নামটি ২০০২ সালে ভোটার তালিকাতে রয়েছে। আমরা আতঙ্কিত বাবার নাম যদি ভোটার তালিকা থেকে বাদ যায়।

ওই গ্রামের একজন বাসিন্দা আরতি রায় বলেন, পেটের তাগিদে আমরা বাইরে কাজ করি। ভোটের সময় এসে ঠিক ভোট দিয়ে যাই। গত লোকসভা নির্বাচনেও আমরা ভোট দিয়েছি। এই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা আমরা। তারপরেও বিজেপি করার কারণে কিছুদিন আগেও তৃণমূলের বুথ সভাপতি বর্তমানে বিএলও ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের নাম কেটেছে।

বিষয়টি নিয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক ও রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নিতাই মন্ডল বলেন, আমরা এর আগেও ২০২৪ সালে এই বিএলও বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। জয়েন বিডিও বলেছে, কেন ফর্ম আসেনি বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখেই বলা যাবে।

এই নিয়ে তৃণমূল ব্লক সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা আগে থেকেই এটাই বলেছি, তড়িঘড়ি SIR করার জন্য অনেকের নাম বাদ যাচ্ছে, অনেকেই ফর্ম পাচ্ছেন না। আজ বিজেপির অভিযোগে তাঁদের দাবি প্রমাণিত হল। আর স্থানীয় BLO-র হাতে নাম বাদ দেওয়ার ক্ষমতা নেই, গাফিলতি নির্বাচন কমিশনের।

About The Author