Jalpaiguri: প্রধান শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস কাণ্ডে শিক্ষক সংগঠনের ধর্মঘটের ডাক

জলপাইগুড়ি: স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে কান ধরে ওঠবস করাচ্ছেন ভাবী পুরপ্রধান তথা শহরের দাপুটে TMC নেতা সৈকত চ্যাটার্জি‌! ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই হইচই।

AI দিয়ে তৈরি ভিডিও বললেও রেহাই পেলেন না সৈকত। এই কাণ্ডের বিরুদ্ধে ১৪ নভেম্বর শহরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ডাক এবং অভিযুক্তের শাস্তি চেয়ে পথে নামছে শিক্ষা বাঁচাও কমিটি। জলপাইগুড়িতে চাপা উত্তেজনা। ভাবী পুরপ্রধানের শপথের দিনেই জলপাইগুড়িতে ধর্মঘটের ডাক শিক্ষক সংগঠনের।

শুভেন্দু অধিকারীর ছাড়া ভিডিওর সঙ্গে অভিযোগ, সুনিতি বালা সদর বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে তাঁর চেম্বারে ডেকে কান ধরে ওঠবস করান সৈকত। ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে শিক্ষা মহল ও নাগরিক সমাজ।

এই ঘটনায় জলপাইগুড়ি শিক্ষা বাঁচাও মঞ্চ তীব্র নিন্দা জানিয়ে ১৪ নভেম্বর শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মৌসুমী বোস জানিয়েছেন, “একজন শিক্ষিকাকে অপমান করা মানে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে লাঞ্ছিত করা।” শুক্রবার দুপুরে মাদ্রাসা ময়দান থেকে মিছিল করে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ও জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের দাবি, ঘটনাটি চলতি বছরের ৪ জানুয়ারির হলেও তাঁদের কেউ জানায়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি দেখে তাঁরা প্রথমবার জানতে পারেন। তাঁদের বক্তব্য, বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনই এখন জরুরি।

এই ব্যাপারে অবশ্য সৈকতবাবুর বক্তব্য, ভিডিওটি মিথ্যে। AI দিয়ে তৈরি। তাঁর বিরুদ্ধে জেনে বুঝে দিন দেখে চক্রান্ত সাজানো হয়েছে। সিপিআই(এম) জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র বলেন, “যিনি ভোট লুঠ, তোলাবাজি ও আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত, তাঁকেই যদি পৌরপতি পদে বসানো হয়, তবে তা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জাজনক।”

About The Author