স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে ধৃত TMC নেতার ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত, BDO-র গ্রেপ্তারি চায় পরিবার

ধৃত সজলের বৌদি গায়ত্রী সরকার কোচবিহার-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় এদিন তাঁকে ১০ দিনের হেপাজতের নির্দেশ দেয় বিধান নগর কোর্ট।

 কলকাতা: দত্তাবাদের স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিলা খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হন কোচবিহার-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সজল সরকার। বৃহস্পতিবার বিধাননগর আদালতে তাঁকে হাজির করা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার শিলিগুড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকারি আইনজীবীর দাবি, ব্যবসায়ীকে মারধরের একটি ভিডিও পুলিশের হাতে এসেছে, যেখানে সজলকে দেখা গিয়েছে। সেই ভিডিও নিয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। তদন্তে আরও দুই ধৃতের জেরা থেকে সজলের নাম উঠে এসেছে।

এই ঘটনায় এখনও মোট তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজু ঢালি এবং তুফান থাপা। মৃত স্বর্ণ ব্যবসায়ী স্বপন কামিলা পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা হলেও থাকতেন দত্তাবাদে। পরিবারের অভিযোগ, ২৮ অক্টোবর দোকান থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন যাত্রাগাছি বাগজোলা খালপাড় থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

পরিবারের তরফে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগও তোলা হয়েছে। এই ঘটনায় গতকাল গ্রেপ্তার হলেন শাসক দলের নেতা। এরপরই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ছে, কারণ ধৃত সজল দীর্ঘদিন ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত এবং তাঁর বৌদি গায়ত্রী সরকার কোচবিহার-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি।

এই গ্রেপ্তারি ও আদালতের নির্দেশে রাজ্য রাজনীতিতে ফের নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। বিরোধীরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে। অন্যদিকে পুলিশ তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলেই জানা গেল পুলিশ সুত্রে। তবে এখনও অভিযুক্ত বিডিও-র কেশাগ্র কেন স্পর্শ করতে পারছে না তদন্তকারীরা, সেই প্রশ্নের উত্তর অধরাই।

About The Author