প্রয়াত ধর্মেন্দ্র, বলিউডের ‘হি-ম্যান’ আর নেই, বয়স হয়েছিল ৯০

▶ RNFnews-এর পক্ষ থেকে নোট

আজ সকাল থেকে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমে বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু সংবাদ প্রচারিত হয়েছে/ হচ্ছে। তবে তাঁর কন্যা ঈশা দেওল কিছু আগে জানিয়েছেন, এই খবরটি ঠিক নয়। RNF News সর্বদা চেষ্টা করে সঠিক তথ্য, যাচাই করা সংবাদ আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে। এই বিভ্রান্তির জন্য আমরা দুঃখিত এবং পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।


ধর্মেন্দ্র সুস্থ: ইশা দেওল মৃত্যুর গুজব খারিজ

ARCHIVED

মুম্বই: প্রয়াত বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

সোমবার বিকেলে তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা। ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণে বলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ধর্মেন্দ্রকে বলিউডে বলা হয় ‘হি-ম্যান’, যিনি রোম্যান্টিক নায়ক থেকে শুরু করে অ্যাকশন হিরো—সব চরিত্রেই দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। “শোলে”, “চুপকে চুপকে”, “ধূপ ছায়া”, “ফুল অর পাথর”, “যুদ্ধ”, “রাজপুত”—অসংখ্য ছবিতে তাঁর অভিনয় আজও দর্শকদের মনে অমলিন।

ধর্মেন্দ্রর জন্ম ১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পঞ্জাবের লুধিয়ানার নাসরালিতে। বাবা ছিলেন স্কুল শিক্ষক। অল্প বয়সেই বিয়ে করেন প্রকাশ কৌরকে। পরে হেমা মালিনীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ও বিয়ে বলিউডে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়।

১৯৬০ সালে অর্জুন হিঙ্গোরানির দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি। তবে সাফল্য আসে ১৯৬১ সালে শোলো অউর শবনম দিয়ে। এরপর বন্দিনী তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করে। ষাট ও সত্তরের দশকে তিনি একের পর এক হিট ছবি দেন—ফুল অউর পাথর, মমতা, সত্যকাম, মেরা গাঁও মেরা দেশ, সীতা অউর গীতা, রাজা জানি, সমাধি ইত্যাদি।

১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া শোলে তাঁকে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে যুগলবন্দীতে ইতিহাস গড়তে সাহায্য করে। তাঁর ‘বীরু’ চরিত্র আজও কাল্ট হয়ে আছে। রোম্যান্টিক নায়ক থেকে অ্যাকশন হিরো—সব চরিত্রেই তিনি দর্শকদের মন জয় করেছিলেন।

 বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি চরিত্রাভিনেতা হিসেবে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন। প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া, লাইফ ইন আ মেট্রো, জনি গদ্দার, ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা সিরিজে তাঁর অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে। সাম্প্রতিক সময়ে রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি ছবিতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

ধর্মেন্দ্র ৯ বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। ঘায়েল ছবির জন্য জাতীয় পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। ১৯৯৭ সালে ফিল্মফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১২ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন।

তাঁর প্রয়াণে বলিউডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ভক্তদের কাছে তিনি শুধু অভিনেতা নন, ছিলেন এক যুগের প্রতীক।

About The Author