জলপাইগুড়ি: নাগরাকাটার বন্যা কবলিত মানুষের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে উঠে এল জোরালো প্রশ্ন— “দিদি, আমাদের বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারে না।”
সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সরাসরি দুর্গতদের অস্থায়ী আশ্রয়স্থলে পৌঁছান, তখন ঘরবাড়ি হারানো মানুষজন প্রথমেই তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তাঁরা জানান, বস্তি থেকে স্কুলের দূরত্ব অন্তত ১১ থেকে ১৩ কিলোমিটার, যা পেরিয়ে প্রতিদিন যাওয়া সম্ভব নয়। পথে ঘাটে বন্যপ্রানের হুমকি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সেই অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে শোনেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন—অবিলম্বে বিকল্প স্কুলের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া যাঁরা ঘরবাড়ি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। মৃতদের পরিবারের একজনকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার থেকেই মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন। আলিপুরদুয়ার পর একে একে নাগরাকাটার বিধ্বস্ত এলাকাগুলি ঘুরে সোমবার সন্ধ্যায় তিনি ফিরে যান উত্তরকন্যায়।
এই সফরে মুখ্যমন্ত্রীর মানবিক সংবেদনশীলতা এবং প্রশাসনিক তৎপরতা দুর্গত মানুষের মনে কিছুটা আশার আলো জাগিয়েছে।
দেখুন ভিডিও: