‘মেয়েটাকে কেন যে পাঠালাম’, বিপর্যয়ে ৮ বছরের নাতনিকে হারিয়ে বৃদ্ধার কান্না

৮ বছরের আয়ুষী দিদার কাছেই থাকত। পাহাড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। রাতে ঘুমের মধ্যে ধসে যায় ঘর। ভিত খুঁড়ে মেলে আয়ুষীর দে/হ। দিদিমার অনুশোচনা, কেন যে পাঠালাম?

দার্জিলিং: দশেরার রাতে পাহাড়ে আনন্দের আবহেই নেমে এল মৃত্যু। বছর আটের আয়ুষী ছেত্রী, যিনি ছোট থেকেই বাবা-মায়ের থেকে আলাদা, দিদার কাছে বড় হচ্ছিলেন—শনিবার রাতে সৌরিণীতে মামার বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন পিসির পরিবারের সঙ্গে। গভীর রাতে জলের স্রোতে ধসে যায় সেই ঘরটি। মৃত্যু হয় ঘরে থাকা চারজনেরই। আয়ুষীর দেহ উদ্ধার হলেও বাকি তিনজন এখনও নিখোঁজ।

রবিবার সন্ধ্যায় আয়ুষীর নিথর দেহ যখন খোলাচাঁদ ফাঁপড়ির বাড়িতে পৌঁছায়, দিদা বারবার নিজেকে দোষ দিতে থাকেন। “আনন্দের জন্য পাঠিয়েছিলাম, প্রাণের বিনিময়ে ফিরল,”—বলে চলেন বছর আটষট্টির বৃদ্ধা।

আয়ুষীর মামা জানান, আয়ুষীর ছোট বোনও সেদিন একই ঘরে ঘুমাতে চেয়েছিল। ঘরে চারজন হয়ে যাওয়ায় তাকে পাশের ঘরে পাঠানো হয়। ভাগ্যের জোরে সেই ঘরটি ধসে যায়নি। “নইলে হয়তো দিদার কাছে খালি হাতে ফিরতে হত,”—বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন মামা। আয়ুষীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে আসেন বাবা-মা দুজনেই। গ্রামবাসীরা চোখে জল নিয়ে বলেন, “মেয়েটা যাওয়ার সময় বাবা-মাকে এক করে দিয়ে গেল।”

About The Author