ধসে নিহত ছোট্ট আয়ুষী, একই পরিবারে তিন মৃত্যু—উত্তরবঙ্গে মৃত বেড়ে ৩২

শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি জেলায় এক রাতের বৃষ্টিতে নেমে এল মৃত্যু। ধসে প্রাণ হারাল বছর আটের আয়ুষী ছেত্রী সহ একই পরিবারের তিনজন।

দশেরার আনন্দে মামার বাড়িতে গিয়েছিল আয়ুষী ও তার ছোট বোন। শনিবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ধসে যায় ঘরটি। আয়ুষীর নিথর দেহ উদ্ধার হলেও বাকি তিনজনের দেহ এখনও নিখোঁজ। আয়ুষীর দিদা বারবার নিজেকে দোষ দিচ্ছেন, “আনন্দের জন্য পাঠিয়েছিলাম, প্রাণের বিনিময়ে ফিরল।”

শিলিগুড়ির পাথরঘাটার একটি পরিবারেও ধস কেড়ে নিয়েছে তিনটি প্রাণ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতের বৃষ্টিতে হঠাৎ ধসে পড়ে ঘর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পরিবারের তিন সদস্যের। এলাকায় শোকের ছায়া।

এই আবহেই সোমবার নাগরাকাটার বামনডাঙ্গা চা বাগানের মডেল ভিলেজে আরও চারটি দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মঞ্জু নায়েক, নিভৃতি নায়েক, এতোয়ারি ওরাওঁ ও সুকান্ত ওরাওঁ। এই নিয়ে বামনডাঙ্গায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৯, উত্তরবঙ্গে ৩২।

আজই দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে হামলার শিকার হন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। কিছুক্ষণ পরেই নাগরাকাটায় পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন তিনি।

About The Author