চার্লি কার্ক হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। মতাদর্শগত বিরোধিতা থাকলেও, এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল। এই আবহেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী অতি বামপন্থী গোষ্ঠী Antifa-কে ‘জঙ্গি সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আমেরিকার দেশপ্রেমীদের জন্য সুখবর, অসুস্থ, বিপজ্জনক, চরম বামপন্থী বিপর্যয়, ANTIFA-কে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করছি আমি।” তিনি আরও বলেন, যারা Antifa-কে আর্থিকভাবে সাহায্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হবে।
Antifa কোনও সংগঠন নয়, বরং একটি আদর্শিক ছাতাশব্দ—যা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা চরম বামপন্থী গোষ্ঠীগুলিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। মূলত ফ্যাসিবাদ ও নব্য ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলন চালায় এই গোষ্ঠীগুলি। তবে কোনও নির্দিষ্ট কাঠামো বা নেতৃত্ব না থাকায়, তাদের ‘জঙ্গি সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করা নিয়ে আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়েছে।
২০২০ সালে FBI ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার রে জানিয়েছিলেন, Antifa কোনও সংগঠন নয়, বরং একটি আদর্শ। ফলে সরকারি ভাবে তাদের জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করা কঠিন। তবু ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন সেনেটর বিল ক্যাসিডি, যিনি Antifa-কে হিংসা ও নৈরাজ্যের উস্কানিদাতা বলে অভিহিত করেছেন।
চার্লি কার্কের শেষ সাক্ষাৎকারে তিনি বামপন্থী সংগঠনগুলিকে হিংসার জন্য দায়ী করেছিলেন। সেই সূত্র ধরেই এবার সরাসরি Antifa-কে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করলেন ট্রাম্প।