‘হ্যাচারি থেকে টাকা খেয়েছে তৃণমূল-বিজেপি’, মুখে কুলুপ ব্লক প্রশাসনেরও।
রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটায় রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ে এবার প্রসাশনের বিরুদ্ধে মাঠে নামল সিপিএম। দুই মৃত্যুর প্রতিবাদে বিডিও অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ করে, একযোগে বিডিও, জেলাশাসক এবং তৃণমূল, বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন সিপিএম নেতারা। হ্যাচারিকে নিয়েও উঠল বৈধতার প্রশ্ন। টাকার জোরে তৃণমূল, বিজেপি, প্রশাসন নাকি হ্যাচারির ভুল দেখেও দেখছেন না।
বৃহস্পতিবার সিপিএম-র জলপাইগুড়ি জেলা সংগঠনের নেতৃত্বে রাজগঞ্জের বিডিও অফিসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তারা। সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র বলেন, হ্যাচারি নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। বাইরে থেকে পুজিপতি এসে টাকা খাইয়ে অন্যায়ভাবে কাজ করাচ্ছে, এতে গ্রামের ক্ষতি হচ্ছে।
তৃণমূল বিজেপি টাকা খেয়ে বসে আছে। প্রশাসনের আধিকারিকেরা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। হ্যাচারি শিল্পের বিরুদ্ধে নয়, তবে পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষারথে গ্রামবাসীদের বিপদের মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি, আক্রান্তদের ক্ষতিপূরণ, হ্যাচারি কর্মীদের ন্যায্য বেতন, এলাকায় জলের সুব্যবস্থা ইত্যাদি নানা দাবি তুলে ধরে হয়।
মোতায়েন করা ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী। দাবিদাবা জমা দিতে গেলে প্রথমে সিপিএমের প্রতিনিধিরা বিডিও কে না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন যদিও শেষ অবধি বিডিওর নির্দেশে জয়েন ভিডিও তাদের সেই ডেপুটেশন গ্রহণ করেন।
যদিও এই ব্যাপারে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে দুই ফুল। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘শুরু থেকেই বিধায়ক থেকে এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যেরা, সকলেই আক্রান্তদের পাশে ছিলেন। বামেরা এতদিন পর দলীয় পতাকা নিয়ে রাজনীতি করতে এসেছেন। এই কারণেই তো বামেরা শূন্য।’
এদিকে, বিজেপির তরফে জেলা কমিটির সদস্য দেবাশিষ দে বলেন, হ্যাচারি নিয়ে এখন কথা বলছে সিপিএম, এতদিন কি ঘুমিয়ে ছিল? প্রথম দিন থেকেই বিজেপি আক্রান্তদের পাশে ছিল। হাসপাতালেও সাংসদ গিয়ে রোগীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।