কাঠমান্ডু: নেপালে দু’দিনের ভয়াবহ ছাত্র-যুব আন্দোলনের চাপে অবশেষে পদত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।
মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর পদত্যাগের ঘোষণা প্রকাশ্যে আসে। প্রসঙ্গত, এই দাবিতেই রাস্তায় নেমেছিল যুবরা। সঙ্গে ছিল সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান নিয়ে প্রতিবাদ।
সমাজমাধ্যম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ঘিরেই আন্দোলনের শুরু। ফেসবুক, ইউটিউব, X-এর মতো ২০টির বেশি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়ার পর বাক স্বাধীনতার প্রশ্নে রাস্তায় নামে ‘Gen Z’ তরুণ-তরুণীরা।
প্রতিবাদ দ্রুত রূপ নেয় দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে। অভিযোগ ওঠে প্রশাসনে স্বজনপোষণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের।
কাঠমান্ডুতে পার্লামেন্ট ভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত বাসভবনে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা।
২৫ জনের মৃত্যু, শতাধিক আহত, বিমানবন্দর বন্ধ, সেনা নামানো—এই সবের মধ্যেই ওলি পদত্যাগ করেন।
তবে নেপালের সংবিধান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলেও সরকার পুরোপুরি ভেঙে যায় না। প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পোড়েলের পদত্যাগও সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।