তিয়েনচিন: রাশিয়ার তেল কেনার অভিযোগে ভারতের ওপর চোটপাট, চিনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। এমন সময়েই চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং আগামী সপ্তাহে তিয়েনচিনে আয়োজিত SCO (শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন) সম্মেলনে ২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রনেতাকে একত্রিত করতে চলেছেন।
এই সম্মেলনটি রাশিয়ার উপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক পুনরুদ্ধারের সুযোগ, এবং গ্লোবাল সাউথের সংহতির শক্তিশালী বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ছাড়াও মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার নেতারা আমন্ত্রিত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাত বছরের মধ্যে প্রথমবার চিন সফরে যাচ্ছেন, যা ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রয়াসের অংশ।
গত বছর কাজানে BRICS সম্মেলনে মোদি, শি এবং পুতিন এক মঞ্চে ছিলেন, যখন ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা নেতারা রুশ নেতাকে এড়িয়ে চলছিলেন। রুশ দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, চিন–ভারত–রাশিয়ার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্লেষক এরিক ওল্যান্ডার বলেন, “শি এই সম্মেলনকে ব্যবহার করতে চান পোস্ট–আমেরিকান নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার রূপরেখা তুলে ধরতে, যেখানে হোয়াইট হাউসের চিন, ইরান, রাশিয়া ও ভারতের বিরুদ্ধে প্রচেষ্টা প্রত্যাশিত ফল দেয়নি।”
চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এটি SCO-র ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সম্মেলন, যেখানে নিরাপত্তা, অর্থনীতি, এবং সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে।