জলপাইগুড়ি: তিন বছর কারাবাসের পর অবশেষে বেকসুর খালাস পেলেন ময়নাগুড়ির ধজেন্দ্রনাথ রায়। তাঁর প্রতিবেশী বিজয়া রায় জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি থানায় পক্সো আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে ধজেন্দ্রনাথ রায়কে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি দীর্ঘ তিন বছর জলপাইগুড়ি সংশোধনাগারে বন্দী ছিলেন।
আজ বুধবার জলপাইগুড়ি জেলা পক্সো আদালতের বিচারপতি রিন্টো সুর মামলার সমস্ত সাক্ষ্য, প্রমাণ এবং দুপক্ষের সওয়াল–জবাব খতিয়ে দেখে রায় ঘোষণা করেন। আদালত স্পষ্ট জানায়, ধজেন্দ্রনাথ রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ মিথ্যা এবং তিনি কোনোভাবেই ঘটনাটির সঙ্গে যুক্ত নন। ফলস্বরূপ, তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্তের অন্যতম আইনজীবী রঞ্জিত বর্মন রায়ের পর সাংবাদিকদের জানান, “এটি জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের এক ঐতিহাসিক রায়। সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক পক্সো মামলায় সাজা ঘোষিত হলেও, এখানে একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে আমরা ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। এটি সত্যিই ব্যতিক্রমী ঘটনা।”
মামলাটি দায়ের হয়েছিল জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি থানায়, গত ১৩ মে ২০২৩ তারিখে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজকের এই রায়ে পরিবারের পাশাপাশি আইনজীবী মহলেও স্বস্তির হাওয়া বইছে।
অভিযুক্তের ভাস্তে দীপঙ্কর রায় পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “আমরা এই রায়ে অত্যন্ত খুশি। একজন বয়স্ক মানুষকে তিন বছর ধরে মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করতে হয়েছে, যা ভীষণ লজ্জাজনক। বিশেষত, অভিযুক্তের এক প্রতিবন্ধী কন্যা রয়েছে যার দেখভালের সম্পূর্ণ দায়িত্ব তাঁর বাবার ওপরই ছিল। আজকের এই রায় আমাদের পরিবারের জন্য সত্যিই স্বস্তির। আমরা জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের কাছে কৃতজ্ঞ, কারণ তাঁরা আমাদের সঠিক বিচার পাইয়ে দিয়েছেন।’

