রাজগঞ্জ: সন্ন্যাসীকাটার চেকরমারি গ্রামে ইঁদুর জ্বরের আতঙ্কে থমকে গেছে জনজীবন। দিনের পর দিন আতঙ্কে ভুগছেন গ্রামবাসীরা। রাস্তাঘাট ফাঁকা, স্কুল, বাজার, এমনকি বাড়ির আঙিনাও যেন নিষিদ্ধ এলাকা হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার ওই গ্রামে যান স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি দল। সঙ্গে ছিলেন রাজগঞ্জের বিএমওএইচ। তাঁরা আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি, জলের উৎস, খাবারের পরিবেশ এবং জীবাণুর সম্ভাব্য উৎস খতিয়ে দেখা হয়।
তবে গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, এতদিন পরেও রোগের উৎস নির্দিষ্ট করে কেন জানাতে পারছেনা প্রশাসন? এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা বারবার জিজ্ঞেস করছি, কোথা থেকে এই রোগ ছড়াচ্ছে। শুধু আশ্বাসে কি কাজ হবে?”
স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে। প্রাথমিক অনুমান, ইঁদুরের মলমূত্র বা দূষিত জলের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। যদিও ওই গ্রামে মুরগির ফার্ম নিয়েই বিস্তর অভিযোগ এলাকাবাসীদের। সেখানে ইঁদুরের উৎপাত নেই বলেই দাবি।
এদিন, গ্রামবাসীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাবার ঢাকা দিয়ে রাখা এবং সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকেরা। তবু তাঁদের চেহারায় আতঙ্ক যেন কাটছে না। গ্রামবাসীদের একটাই দাবি—রোগের উৎস দ্রুত চিহ্নিত করে আক্রান্ত এলাকা জীবাণুমুক্ত করা হোক।