‘কিভাবে মোবাইল ছুঁড়তে হয়, আগে সেই ট্রেনিং নিক তৃণমূল নেতারা’, জীবন-কাণ্ডে খোঁচা অধীর চৌধুরীর

মুর্শিদাবাদ: মোবাইল ছুঁড়ে পালানোর চেষ্টা, শেষমেশ ধরা পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা

মুর্শিদাবাদের বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে ফের হানা দিল ইডি। সোমবার সকালবেলা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ইডির বিশেষ দল ঢুকে পড়ে তার বাড়িতে।

অভিযোগ, ইডি ঢুকতেই জীবনকৃষ্ণ সাহা নিজের দুটি মোবাইল ফোন পুকুরে ছুঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন। শুধু তাই নয়, বাড়ির পিছনের পাঁচিল টপকে পালানোর চেষ্টাও করেন তিনি। তবে শেষরক্ষা হয়নি—পুকুরপাড় থেকে ফোন দুটি উদ্ধার করে ইডি, আর বিধায়ককে ধরে ফেলে বাহিনীর জওয়ানরা।

এর আগেও নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় CBI গ্রেফতার করেছিল জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। জামিনে মুক্ত ছিলেন তিনি। এবার নতুন দুর্নীতির মামলায় ইডি ফের তাকে গ্রেফতার করল। শুধু তার বাড়িই নয়, হানা দেওয়া হয় শ্বশুরবাড়ি ও সাঁইথিয়ার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতেও।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তার কথায়, “তৃণমূল যতদিন থাকবে, দুর্নীতি ততদিন থাকবে—এটা মানুষ নিশ্চিত। এবার মোবাইল ছুঁড়ে ফেলার ট্রেনিং নেওয়া উচিত দিদির দলের চোর-বাটপারদের।”

তিনি আরও বলেন, “বড়ঞার বিধায়ক জানতেন, মোবাইল ফোনে দুর্নীতির ভাগ-বাটোয়ারার নম্বর রয়েছে। তাই ছুঁড়ে ফেলতে চেয়েছিলেন।”

অধীরের মন্তব্যে স্পষ্ট, ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্তকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে—এই হানায় আদৌ কতটা ‘কাজের কাজ’ হচ্ছে?

About The Author