নয়াদিল্লি: ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশের দিন সন্ধ্যায় সংসদে যে বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছিল, তার দায় কংগ্রেস নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের দিকেই ঠেলে দিলেন কেন্দ্রীয় পরিষদীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তাঁর দাবি, এই প্রতিবাদ কোনও স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিক্রিয়া নয়, বরং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নির্দেশে’ সংগঠিত।
রিজিজু বলেন, ‘অমিত শাহ যখন বিল পেশ করবেন, তখন কেউ কিছু বলবে না—এই কথা হয়েছিল। কিন্তু অধিবেশন শুরু হতেই তৃণমূল সাংসদরা ওয়েলে নেমে কাগজ ছুঁড়তে শুরু করেন। তাঁদের দেখে কংগ্রেস নেতা ভেনুগোপালও চিৎকার করে বিলের কাগজ ছিঁড়ে দেন।’
তিনি আরও বলেন, “আমি কংগ্রেসকে দোষ দেব না। নেত্রী যেমন, সাংসদরাও তেমন। কলকাতা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিলেন, আর এখানে সাংসদরা রণনীতি বদলে ফেললেন।’
তৃণমূলের তরফে অবশ্য এই অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই সাংবাদিক বৈঠকে বলেছিলেন, ‘প্রতিবাদে এগিয়ে তৃণমূলই।’ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘প্রতিবাদ করার অধিকার আমাদের রয়েছে। করেছি, করব। কিন্তু একজন তফসিলি জাতির মহিলা সাংসদকে মারতে আসার অধিকার রিজিজুর নেই।’
এই বিতর্কের আবহে সংশোধনী বিল আপাতত পাঠানো হয়েছে জেপিসি কমিটিতে। তৃণমূলের দাবি, প্রতিবাদ সফল। বিজেপির দাবি, বিশৃঙ্খলা পরিকল্পিত।