নয়াদিল্লি: “গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন”—লোকসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ১৩০তম সংশোধনী বিলের নামে ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে ধ্বংস করতে চাইছে মোদি সরকার।
বুধবার সংসদে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ—
- কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন (সংশোধনী) বিল ২০২৫
- সংবিধান (১৩০তম সংশোধনী) বিল ২০২৫
- জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস (সংশোধনী) বিল ২০২৫
এই বিলগুলির মূল লক্ষ্য, গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত কোনও প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যদি ৩০ দিনের বেশি জেলে থাকেন, তাহলে তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া যাবে; সাংবিধানিক রক্ষাকবচ ছাড়াই।
বিল পেশের পরই সংসদে উত্তেজনা ছড়ায়। বিরোধীরা বিলের কপি ছিঁড়ে বিক্ষোভ দেখান। এক্স হ্যান্ডেলে দীর্ঘ প্রতিবাদ বার্তায় মমতা লেখেন, “এই বিল বিচার বিভাগের স্বাধীনতা শেষ করতে চায়। এটি ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর হিটলারি আক্রমণ। আদালতের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে স্বার্থান্বেষীদের হাতে আইন তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।”
তিনি আরও বলেন, “আদালতকে দুর্বল করা মানে জনগণকে দুর্বল করা। এই বিল সংবিধানের মৌলিক কাঠামো, যুক্তরাষ্ট্রীয় ভারসাম্য এবং বিচারব্যবস্থার উপর সরাসরি আঘাত। এটি বাস্তবায়িত হলে গণতন্ত্রের মৃত্যু হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এই বিল জরুরি অবস্থার থেকেও ভয়ংকর। এসআইআরের নামে নাগরিকদের ভোটাধিকার দমন করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। বিজেপি সরকারের এই পদক্ষেপকে তিনি ফ্যাসিবাদী শাসনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।